এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া,২৩ ফেব্রুয়ারী : সিজারের পরিকাঠামো নেই,এই অজুহাত দেখিয়ে ১০ জন গর্ভবতী মহিলাকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । এমনকি ওই সমস্ত আসন্ন প্রসবা মহিলাদের অন্য কোথাও ভর্তি করে সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রসব করানোর জন্য হাসপাতাল থেকে পরামর্শও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন । তাঁরা ওই গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসিয়ে রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন । স্থানীয় নার্সিংহোমগুলি থেকে মোটা টাকা কমিশনের জন্যই হাসপাতালে চিকিৎসকরা গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা । এদিকে বেশ কিছুক্ষন ধরে বিক্ষোভ চলার পর খবর পেয়ে কাটোয়া থানা থেকে পুলিশবাহিনী যায় । শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে রয়েছে ৬০ টি বেড । রোজ গড়ে ১০ – ১২ গর্ভবতীকে সিজার ডেলিভারি করানো হয় । এদিন প্রায় ১০ জন গর্ভবতী মহিলাকে প্রসবের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভর্তি নেওয়া না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মহিলাদের পরিবারের লোকজন । শুরু হয় বিক্ষোভ । এদিকে তারই মধ্যে প্রসব বেদনায় কাতর বেশ কয়েকজন গর্ভবতী মহিলাকে তাঁদের পরিবারের লোকজন কাটোয়া শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করতে বাধ্য হন ।
রোগীনীদের মধ্যে আয়েষা খাতুন, মমতা মণ্ডলরা বলেন,’কাটোয়া হাসপাতাল থেকে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় । বলা হয় হাসপাতালে এখন সিজার হবে না । তাই হাসপাতালের পরিবর্তে অন্য কোথাও ভর্তি করার জন্য বলা হয় । আমাদের পরিবারের লোকজন ডাক্তারবাবুদের কাছে বারবার অনুরোধ করেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের ভর্তি নেওয়া হয়নি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নবারুন গুপ্ত বলেন,’প্রসূতিদের ভর্তি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল । বিষয়টি খতিয়ে করে দেখা হচ্ছে । পাশাপাশি যেসব রোগীদের ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।’ তাঁর দাবি একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এদিনের এই ঘটনা ঘটেছে ।।