এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২৯ জুলাই : বাঁকুড়া শহরের ইন্দারাগোড়া এলাকার অলঙ্কার ব্যবসায়ী শুভঙ্কর দে’কে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম জাকির ইকবাল খিলজি । বাঁকুড়া শহরেই ধৃতের বাড়ি । বৃহস্পতিবার রাতে তাকে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ । শুক্রবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় । যদিও এখনও পর্যন্ত খুনের কারন স্পষ্ট নয় ।
জানা গেছে,গত শনিবার ব্যবসার কাজে যাওয়ার নাম করে স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন বাঁকুড়া শহরের ইন্দারাগোড়া এলাকার অলঙ্কার ব্যবসায়ী শুভঙ্কর দে । রাতভর তিনি বাড়ি ফেরেননি । শেষে রবিবার বাঁকুড়ার খাতড়া থেকে মুকুটমনিপুর যাওয়ার রাস্তার ধারে একটি ঝোপ থেকে তাঁর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । মৃতদেহটি এতটাই বিকৃত ছিল যে,প্রথমে দেহটি শনাক্ত করতে পারেনি তাঁর পরিবারের লোকজন । পরে পোশাক পরিচ্ছদ ও অনান্য কিছু লক্ষ্মণ দেখে তাঁকে সনাক্ত করা হয় । এর ঠিক দিন দুয়েক পরে বাঁকুড়া শহরের কলেজ মোড় এলাকা থেকে পাওয়া যায় মৃত ব্যবসায়ীর স্কুটিটি । কিন্তু খুনের কারন নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার । পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে খাতড়া থানার পুলিশ ।
জানা গেছে, প্রথম দিকে পুলিশ কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি । মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল এবং কোন কোন বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শুভঙ্করবাবুর নিয়মিত ওঠাবসা ছিল তা পুলিশের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হয় । কিন্তু তাতেও সফলতা আসেনি । শেষে খাতড়া থেকে মুকুটমনিপুর যাওয়ার সড়কপথের পাশের দোকান বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাগানো সিসিটিভি ভিডিওর ফুটেজ হাতড়াতেই আসে সফলতা । পুলিশ একটি সন্দেহভাজন লাল গাড়ির হদিশ পায় । আর ওই গাড়ির সুত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়া শহরের লালবাজার এলাকা থেকে জাকির ইকবাল খিলজিকে প্রথমে আটক করে পুলিশ । শেষে পুলিশের ম্যারাথন জেরায় সে নিজের দোষ কবুল করলে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
জানা গেছে,প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে নিহত শুভঙ্কর দে’র পূর্ব পরিচিত জাকির । ঘটনার দিন সে শুভঙ্করকে নিজের লাল গাড়িতে চাপিয়ে মুকুটমনিপুর দিকে নিয়ে যাচ্ছিল । তারপর রাস্তায় তাঁকে কোপানোর পর শ্বাসরোধ করে খুন করে মৃতদেহটি রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে সে দিয়ে পালায় । তবে শুভঙ্করবাবুকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন করল জাকির তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে । বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন ) গনেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন,ধৃতকে জেরা করে খুনের কারন জানার চেষ্টা চলছে ।।