এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৩ জানুয়ারী : মদ্যপ অবস্থায় কিশোরী মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম-১ ব্লকের গুসকরা শহরে । স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত প্রদীপ দাসকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় ।
গুসকরা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুচিপাড়ায় বাড়ি পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে প্রদীপ দাসের । বছর তেরোর ওই কিশোরীর মা মূক ও বধির । কিশোরীর মা পরিচারিকার কাজ করেন । প্রায় বারো বছর আগে হাওড়া রেল স্টেশনে ওই প্রতিবন্ধী মহিলার সঙ্গে প্রদীপের প্রথম দেখা হয় বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, তখন প্রদীপ দাস কোনও কাজে কলকাতায় গিয়েছিলেন । ফেরার পথে তিনি দেখতে পান ওই মহিলা তাঁর এক বছরের কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে হাওড়া রেল স্টেশনে বসে কাঁদছে । তা দেখে অনুকম্পা হয় প্রদীপের । তারপর মহিলা ও তাঁর মেয়েকে সঙ্গে করে গুসকরায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে প্রদীপ । কয়েক দিনের মাথায় মহিলাকে সে বিয়েও করে । তাঁদের দুটি পুত্রসন্তান হয় ।
কিশোরীর অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবা মদ্যপবস্থায় বাড়ি ফেরে । তখন আমি বাড়িতে একাই ছিলাম । সেই সুযোগে বাবা আমার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে । বিয়ের প্রস্তাব দেয় । তারপর আমি কোনও রকমে বাবার হাত ফসকে পাশের বাড়িতে চলে আসি ।’
জানা গেছে,কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে পাশের বাড়িতে এসে ঘটনার কথা জানায় । ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আশপাশের বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে যায় । তারপর প্রতিবেশীরা প্রদীপকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন । খবর পেয়ে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে প্রদীপকে থানায় নিয়ে আসে । পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় । অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।।