এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১৯ জুন : পাকিস্তানের এক সময়ের বিখ্যাত ফাস্ট বোলার বছর পঞ্চাশের নাদিম ইকবালের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে । তিনি জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন একজন মহিলা খেলোয়াড়কে যৌন হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ । এদিকে অভিযোগ পেতেই নাদিম ইকবালকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ।
সম্প্রতি নাদিম ইকবালের বিরুদ্ধে এক মহিলা ক্রিকেটারের আনা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে । ওই তরুনী অভিযোগে জানিয়েছেন, পিসিবির মেয়েদের ক্রিকেট দলের ট্রায়ালের জন্য কয়েক বছর আগে তিনি মুলতানে গিয়েছিলেন । সেই সময় সেখানে উপস্থিত অনান্য কোচের মধ্যে নাদিমও ছিলেন । নাদিম তাকে দলে সূযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করতে থাকে । এমনকি গোপনে অশ্লীল ভিডিও তুলে রেখে দেয় । পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকে নাদিম ইকবাল । শুধু নাদিমই নয়, তার কয়েকজন বন্ধু মিলেও তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুনী । প্রসঙ্গত,এক সময়ে নাদিম ইকবালকে ওয়াকার ইউনিসের চেয়েও সেরা বোলার হিসাবে মনে করা হত । তিনি ৮০ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন এবং ২৫৮ টি উইকেট নিয়েছেন । এই প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের এহেন কেচ্ছা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্রিকেট মহলে ।
তবে এই প্রথম নয়,পাকিস্থানে মহিলা ক্রিকেটারদের ধর্ষণের একাধিক নজির আছে । ২০১৪ সালে ৫ মহিলা ক্রিকেটারকে যৌন নির্যাতনের ঘটনাও সামনে আসে । ধর্ষকরা প্রত্যেকেই মুলতান ক্রিকেট ক্লাবের কর্মকর্তা । সেই সময় নির্যাতিতারা অভিযোগ তুলেছিল, দলে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছিল । এছাড়া গত বছর পাকিস্তানের টেস্ট বোলার ইয়াসির শাহের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী । ইয়াসিরের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছে, ইয়াসিরের বন্ধু ফারহান তাকে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। সেই ভিডিও তুলে তাকে নিয়মিত ব্লাকমেল করতে থাকে । এই বিষয়ে ইয়াসিরবে হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ করলে তিনি উত্তরে জানান, তিনি নিজে নাবালিকা মেয়েদের পছন্দ করেন ।।