প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩০ মে : তৃণমূলের হিম্মত নেই রাজ্যপালকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য পদ থেকে সরানোর। দেখে নেবেন , রাজ্য মন্ত্রীসভা যাই সিদ্ধান্ত নিক রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য রাজ্যপালই থাকবেন।সোমবার বর্ধমানে এসে ’আচার্য’ ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ভাষাতেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবী করেছে, রাহুল সিনহার এই বক্তব্য থেকে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল এই রাজ্যের রাজ্যপাল আসলে বিজেপির-ই মুখপত্র ।
বাঁকুড়া থেকে কলকাতা ফেরার পথে এদিন বর্ধমানের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আসেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা ।সেখানে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আচার্য ইস্যুতে রাহুল সিনহা আরো বলেন,আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল ’মেসেজ’ দিতে চেছে যে তারা স্বেচ্ছাচারী। তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণতন্ত্রের মর্যাদাকে ভাঙতে চায়। আসলে রাজ্যপালকে অপমান করে তৃণমূল রাজ্যপালের মুখ বন্ধ করতে চাইছে । কারণ ওরা যে চুরি , চাকরি বিক্রী, লুট ,খুন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল বক্তব্য রাখছেন । পদক্ষেপও গ্রহণ করছেন। তাই এইসব দেখেও রাজ্যপাল যাতে চুপ হয়ে থাকেন তার জন্যই এমন প্রেচেষ্টা চালানো হচ্ছে ।তবে দেখে নেবেন, রাজ্যপালও চুপ হবেন না।আর আচার্য্য পদ থেকেও রাজ্যপালকে হঠাতে পারবে না । অপমানিত হবে রাজ্য মন্ত্রী সভা। রাহুল সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দেন,রাজ্য মন্ত্রীসভা যাই আদেশ দিক তাতে কিছু যায় আসে না।রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য আছেন,তিনিই থাকবেন ।
একের পর এক বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ দের বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, যাঁরা যাবার তাঁরা গেছেন। যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সাচ্চা বিজেপির কর্মকর্তা।অর্জুন সিংহের তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে রাহুল সিনহা বলেন,অর্জুন সিংহ মাসল ম্যান। তার সঙ্গী সাথীরা সবাই তৃণমূলে চলে গেছে। তাই তিনিও চলে গেছেন। দুটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাঁর গ্রেপ্তারি আটকানো গেলেও অনেক মামলা এখনও তাঁর ওপর ঝুলছে। তাই তৃণমূলে যাওয়া ছাড়া অর্জুনের আর কোনো উপায় ছিল না।এরপরেই তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূলের সাহস থাকলে এবার অবাধ ও সুষ্ঠ পঞ্চায়েত নির্বাচন করে দেখাক ।
বিজেপি নেতার এই বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন,
আমারা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম এই রাজ্যের রাজ্যপাল আসলে বিজেপির প্রতিনিধি। বিজেপির-ই মুখপত্র । রাহুল সিনহার এদিনের বক্তব্যে সেটাই আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল । একই সঙ্গে দেবু টুডু বলেন,২০১৯ শের লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ওরা অনেককে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিল। আর তারাই এখন প্রতিদিন বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরছে।বিজেপির জন সমর্থন এখন তলানীতে। তাই ওরা রাজ্যপালকে আঁকড়ে ধরছে । বাংলার মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে তার প্রমাণ পেয়ে গিয়ে বিজেপি নেতারা এখন আবোল তাবোল বকছে ।’।