এইদিন ওয়েবডেস্ক,পোলান্ড,২৫ এপ্রিল : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল আমেরিকাকে ৷ যদিও তারা ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । কিন্তু যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভ কাল থেকেই যেভাবে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল আমেরিকা তাতে যুদ্ধ আটকানোর চাইতে উসকানিই বেশি নজরে পড়েছিল বলে মত অভিজ্ঞমহলের ।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পিছনে আমেরিকার ঠিক কি স্বার্থ লুকিয়ে আছে তা সময়ই বলবে । তবে কিছুটা হলেও সেই উদ্দেশ্যের কথা ফাঁস করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ।
রবিবার ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন অস্টিন । সোমবার তিনি পোল্যান্ডের একটি অজ্ঞাতস্থানে সাংবাদিক সম্মেলন করেন । ওই সম্মেলনে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন । রাশিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অস্টিন বলেন,’আমরা রাশিয়াকে এমন দুর্বল স্থানে দেখতে চাই,যেখান থেকে তারা এমন কিছু করতে পারবে না, যা ইউক্রেনে করেছে ।’তিনি আরও বলেন,’রাশিয়া ইতিমধ্যেই অনেক সামরিক শক্তি হারিয়েছে । আমরা দেখতে চাই, যে ক্ষতির স্বীকার তারা হয়েছে তা যেন দ্রুতই আবার পূরণ করতে না পারে ।’ অর্থাৎ এককথায় রাশিয়াকে দূর্বল দেখতে চায় আমেরিকা । কিন্তু কেন ? এর উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভেই নিহিত আছে । তবে এটা নিশ্চিত যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী উঠে আসুক এটা চায় না জো বাইডেন প্রশাসন ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন অক্ষ শক্তিগুলির বিরুদ্ধে মিত্র হিসাবে একসাথে লড়াই করেছিল ঠিকই তবে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে বরাবরই টানাপোড়েন ছিল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে আমেরিকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাধিকবার রুখে দাঁড়াতে দেখা গেছে রাশিয়াকে । ইরাকের সাদ্দাম হুসেনের জমানায় এবং সিরিয়ায় যুদ্ধে সেই প্রতিফলন দেখা গেছে । যদিও সাদ্দাম হুসেনের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে নামেনি রাশিয়া । কিন্তু সিরিয়া যুদ্ধে বাশার আল-আসাদ সরকারকে সমর্থনে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছিল রুশবাহিনী । আর এর ফলে আমেরিকার একছত্র আধিপত্য অনেকাংশে খর্ব হচ্ছিল । শুধু তাইই নয়,আমেরিকার সমরাস্ত্রের বাজারেও দীর্ঘদিন ধরে থাবা বসিয়ে রেখেছে রাশিয়া । সেই বাজার পুনরুদ্ধারের জন্য রাশিয়াকে দূর্বল হওয়া আমেরিকার কাছে খুব জরুরী । আর তার জন্য তারা ইউক্রেনকে বলির পাঁঠা করেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক মহল ।।