দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া,১২ ফেব্রুয়ারী : প্রতিবাদী যুবক পার্থপ্রতিম ঘোষকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথে নামলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বাসিন্দারা । শনিবার সন্ধ্যায় কাটোয়া স্টেডিয়াম থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহর পরিক্রমা করে । দলমত নির্বিশেষে কয়েক’শ শহরবাসী মিছিলে পা মেলান । তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ছিল মোমবাতি । সেই সঙ্গে হাতে ছিল ব্যানার,ফেস্টুন । তাতে লেখা,’ধিক-ধিক-ধিক্কার । পার্থ ঘোষ(গৌড়)-এর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত ও মর্মাহত । দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই । পার্থ ঘোষের পরিবারের সাথে আমরা সবাই আছি ।’
কাটোয়া শহরের নন্দলাল বসু রোডের বাসিন্দা পার্থপ্রতিম ঘোষের বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী ও পাঁচ বছরের একটি পুত্রসন্তান । কাটোয়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন পার্থপ্রতিম । প্রতিবাদী বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন । অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে সর্বদা রুখে দাঁড়াতে দেখা যেত । আর তাঁর এই প্রতিবাদী স্বভাবই কাল হল ।
সরস্বতী পূজোর রাতে এলাকার কিছু মদ্যপ উশৃংখল যুবকদের দাদাগিরি ও অকারন অন্যের অনিষ্ট করার মানসিকতা মেনে নিতে পারেননি অকুতোভয় পার্থপ্রতিম ঘোষ । রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি । কিন্তু পারলেন না নিজেকে রক্ষা করতে । প্রায় ১২ জন মদ্যপ যুবকের এলোপাথাড়ি মারধরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন । তারপর বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসিপাতালে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন । শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন পার্থপ্রতিম । গত বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ১২ জনকেই গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ । বর্তমানে ধৃতরা জেল হেফাজতে রয়েছে । পার্থপ্রতিমের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন কাটোয়া শহরবাসী । অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছিলেন । এদিন ওই দাবিতে শতাধিক মানুষ পথে নামেন । নিঃশব্দ ওই মিছিলে বহু মহিলাকেও অংশ নিতে দেখা যায় । তাঁদের প্রত্যেকের চোখেমুখে ছিল ক্ষোভের ছাপ ৷।