প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ ডিসেম্বর : প্রেমিক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠলো প্রেমিকা ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে । এই ঘটনা বিষয়ে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে এমন অভিযোগ ঘিরে শনিবার দুপুরে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে। মৃত যুবকের পরিবার পরিজন সহ এলাকার বহু মানুষ এদিন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্রথমে শক্তিগড় থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান । পরে তাঁরা শক্তিগড় বাজারের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ।বিক্ষোভ সামালদিতে র্যাফ সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয় ।শেষপর্যন্থ এলাকাবাসীর চাপে পুলিশ যুবকের পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহন করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,বছর ১৭ বয়সী যুবক শেখ রফিক এর বাড়ি শক্তিগড় থানার সন্তোষপুরে ।যুবকের মা আমিরা বিবিr অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎতই নিঁখোজ হয়ে যায় তাঁর ছেলে রফিক । তার পর থেকে যুবকের আর কোন হদিশ পাওয়া যাচ্ছিলনা ।পরিবার সদস্য ও এলাকার লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও
যুবকের হদিশ পায়না ।পরিবার সদস্যরা এদিন দাবি করেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রফিকের প্রেমিকা নিজেই রফিকদের বাড়িতে ফোন করে রফিকের খোঁজ নেয় ।এরপরেই জিআরপি থেকে যুবকের বাড়িতে খবর আসে শক্তিগড় রেল স্টেশন সংলগ্ন ১ নম্বর কেবিনের পাশে পড়ে রয়েছে রফিকের মৃতদেহ ।শেখ রফিকের মায়ের আরও অভিযোগ, এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁর ছেলে রফিককে খুনের হুমকি দিয়েছিল পার্শ্ববর্তী গ্রাম মোল্লা পাড়া নিবাসী প্রেমিকার বাবা সেখ আমির । আমিরা বিবি এদিন দাবি করেন , তাঁর ছেলে রফিককে খুন করেছে প্রেমিকা ও তাঁর বাবা ।
যুবকের পরিবার সদস্যরা এদিন বলেন,
রফিকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাঁরা শক্তিগড় থানায় অভিযোগ জানাতে যান ।কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বিকার করে ।শুধু অভিযোগ নিতে অস্বীকার করাই নয়, উল্টে প্রেমিকার বাড়ির চারিদিকে পুলিশ ব্যারিকেড করে ঘিরে রাখে।মৃত যুবকের পরিবার সদস্যরা এদিন আরও জানান ,প্রেমিকার বাবা শেখ আমির বড় বালি ব্যবসায়ী হওয়ায় তাঁর সঙ্গে শক্তিগড় থানার পুলিশের ঘনিষ্টতা বেশী । সেই কারণে রফিকের পরিবার প্রেমিকা ও তাঁর বালি কারবারী বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় ।রফিককে খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানার পুলিশ যাতে অভিযোগ পত্র জমা নিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করে সেই দাবিতেই এদিন এলাকার সকলে পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে এলাকাবাসীরা বলেন ।
ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার ) অতনু ঘোষাল বলেন , ‘অভিযোগ পেয়েছি ।অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকার বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাদ শুরু হয়েছে ।’ তবে শক্তিগড় থানার পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে এই অভিযোগ যদিও ডিএসপি মানতে চাননি ।।