এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৬ ডিসেম্বর : দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করল ইউনেসকো । জাতিসংঘের শিক্ষাগত, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি'(Intangible Cultural Heritage of Humanity)-এর তালিকায় কলকাতার দুর্গাপূজাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করে বুধবার বিকেলে ইউনেসকোর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করা হয়েছে । এর আগে ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় আরও বেশ কয়েকটি ভারতীয় অনুষ্ঠানকে সম্মানিত করা হয়েছে । মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় রয়েছে কুম্ভমেলা, যোগ, ছৌ নৃত্য, সংকীর্তন, কুটিয়াত্তম, রামলীলা, রামমন এবং ভারতে সংগঠিত আরও বেশ কিছু অনুষ্ঠান । বহু বছর প্রতীক্ষার পর বাঙালির সেরা উৎসব দূর্গাপূজো অন্তর্ভুক্ত হল ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায় ।
দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি উঠছে । এনিয়ে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করেছিল ভারত সরকার । ফ্রান্সের প্যারিসে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা আন্তঃসরকারি কমিটির ষোড়শ অধিবেশনে সেই আবেদন খতিয়ে দেখা হয় । অবশেষে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেসকো ৷ দূর্গাপূজোর মন্ডপ সজ্জা,দেবীর প্রতিমা তৈরির জন্য কারিগরদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ইউনেস্কো বলেছে, ‘দুর্গা পূজাকে ধর্ম ও শিল্পের সর্বজনীন কর্মক্ষমতার সর্বোত্তম উদাহরণ হিসাবে দেখা হয় । এছাড়া সহযোগী শিল্পী ও ডিজাইনারদের জন্য এই পূজোকে একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র হিসাবে দেখা হয় ।’ সেই সঙ্গে দূর্গাপূজোকে সকল শ্রেণী, ধর্ম, জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছে উইনেসকো ।
বুধবার বিকেলে উইনেসকোর এই ঘোষণার পর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে লেখেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয় । দুর্গাপূজো আমাদের ঐতিহ্য এবং নীতির সেরাটি তুলে ধরে । এবং কলকাতার দুর্গাপূজা এমন একটি অভিজ্ঞতা যা প্রত্যেকেরই স্মৃতিতে থাকবে ।’ উইনেসকোর এই ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে প্রতিটি বাঙালির কাছে দুর্গাপূজো একটি উৎসবের চেয়ে অনেক বেশি । এটি একটি আবেগ যা সবাইকে এক করে । এখন দুর্গাপূজো ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত হয়েছে । আমরা সবাই আনন্দে বিভোর !’।