এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,২৯ এপ্রিল : নকল ভিসায় মালেশিয়া গিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন মুর্শিদাবাদের ৩ যুবক । মালেশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তারা । সেই ভিডিও বার্তায় তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করার জন্য মুর্শিদাবাদ প্রশাসনের কাছে তারা কাতর আবেদন জানিয়েছেন । যুবকরা জানান, তাদের নাম শিফন শেখ (২৫),হাসিরুল শেখ(২৮) এবং লুৎফার রহমান (৩৪) । তাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানা এলাকায় । ওই ভিডিওতে শিফন শেখকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ৩ বন্ধু মালেশিয়া এসেছি ৩ মাস হল । আমাদের এজেন্ট নকল ভিসায় এখানে পাঠিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে । আমরা ফোন করলে এজেন্ট ফোন ধরে না । আমাদের বাড়ির লোকেরা তার বাড়ি গেলে পাত্তা দেয় না । উলটে এজেন্ট আমাদের হুমকি দিচ্ছে । আমাদের বাড়ি যাওয়ার কোনো উপায়ও নেই,কারন আমাদের ভিসা নাই ।’
তিনি বলেন,’এজেন্ট আমাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে । বিগত ৩ মাস ধরে বাড়ি থেকে টাকা পাঠাচ্ছে আর আমরা খাচ্ছি । আমাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা সাহায্য চাই । বাড়ির লোকও খুব চিন্তায় আছে । আমরাও খুব চিন্তায় আছি । বাইরে বের হতে পারছি না,কারন বাইরে গেলেই পুলিশের ধরবে ।
কোনো দিন খেতে পাচ্ছি, কোনো দিন পাচ্ছি না । বাড়ি থেকে কত টাকা পাঠাবে আমাদের?’
শিফন শেখ আরও বলেন,’এজেন্ট বলছে বিধায়ক, চেয়ারম্যান, পুলিশ প্রশাসন সব তার হাতে আছে, তোমরা কিছুই করতে পারবে না । আমাদের এজেন্ট দু’জন ছিল । একজন হল রেকিব, আর একজনের নাম লাল মাস্টার বা নূর ইসলাম । লাল মাস্টার চৈতন্যপুর স্কুলে শিক্ষকতা করে । তার বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করে । তারা এখন আমাদের ধমকি দিচ্ছে ৷’
অন্য যুবক লুৎফার রহমান বলেন,’আমাদের বলেছিল ২ বছরের ভিসায় মালেশিয়া পাঠাবে । প্যাকিং এর কাজ, ৮ ঘন্টা ডিউটি । আমাদের যা যা বলেছিল সব রেকর্ড আছে আমাদের কাছে ।’
আজ শনিবার ডেইলি বাংলা নিউজ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে ফেসবুক পেজে ভিডিওতে পোস্ট করা হয়েছে । যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন । ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ওই ৩ যুবক
কুয়ালালামপুরের সেরেম্বান শহরের বিগত ৩ মাস ধরে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন । শনিবার সকালে শিফনের বাবা রিটন শেখ (৫০) বড়ঞা থানাতে গিয়েছিলেন তার ছেলেসহ ৩ জনকে উদ্ধারের আবেদন জানাতে । কিন্তু ছেলের চিন্তায় কাতর বাবা থানাতে বসে থাকার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন । তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।।
ছবি : ভিডিও থেকে স্ক্রীন শট নেওয়া ।