প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ মে : ছুরি চালিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীকে জখম করে লক্ষাধীক টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ৩ দুস্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ । গত ৩০ এপ্রিল রাতে ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন মজুমদারের কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল শহর বর্ধমানের মালিরবাগান এলাকায় । এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ কে হাতিয়ায় করে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিদের চিহ্নিত করে ।রবিবার রাতে পুলিশ শেখ আজাদ,শেখ মিরাজ ও শেখ সাবির নামে তিন দুস্কৃতিকে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ।এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর বর্ধমানের ওষুধ ব্যবসায়ী মহলে ।
পুলিশ জানিয়েছে , ধৃত শেখ আজাদের বাড়ি শহর বর্ধমানের কাঁটাপুকুর এলাকায়। অপর দুই ধৃত শেখ মিরাজ ও শেখ সাবিরের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার মূলকাটি গ্রামে । বর্ধমান থানার পুলিশ রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ৩ ধৃতকে সোমবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ছিনতাই হওয়া সামগ্রী উদ্ধার ও ছিনতাই চক্রে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার জন্যে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ১০ দিন পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । বিচারক ধৃতদের ৭ দিন পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় এদিন জানিয়েছেন,ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন মজুমদারের বাড়ি শহর বর্ধমানের রাজগঞ্জ মালিরবাগান এলাকায় । বর্ধমানের কাঁটাপুকুর সংলগ্ন এলাকার কল্যাণী মার্কেটে তাঁর ওষুধের পাইকারি ব্যবসার দোকান রয়েছে ।ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৯ টা , সাড়ে ৯ টা নাগাদ লিটন মজুমদার দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ,“ওইদিন বাড়ির কাছেই দুস্কৃতি দল লিটন বাবুকে ছুরিকাহত করে তাঁর কাছে থাকা লক্ষাধীক টাকা ভর্তি ব্যগ ছিনিয়ে নিয়ে পালায়।ওই ব্যাগে টাকা ছাড়ও লিটন বাবুর ৩ টি মোবাইল ফোন ,চশমা ও নথিপত্র ছিল ।এই ঘটনার খবর পেয়েই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লিটন বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করে ।পরে ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন বাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে পুলিশ তদন্তে নামে । রবিবার প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় শেখ আজাদ কে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনায় রায়নার মূলকাটি গ্রামের শেখ মিরাজ ও শেখ সাবিরও যুক্ত ছিল। এরপর ওই রাতেই মিরাজ ও সাবির কে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত বাইক ও ছিনতাই হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের জন্যে ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে “। বর্ধমান থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, তদন্তে ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি পুলিশি সোর্স কে কাজে লাগানো হয়। তার মাধ্যমেই দুস্কৃতিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে ।।