প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ মে : উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থানান্তরের কাজ করতে যাওয়া স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের মারধর ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৪ মহিলাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতদের নাম প্রদীপ মাঝি ওরফে বিপত্তারণ, তাপস খাড়াৎ, রাহুল সাঁতরা, শিবু মাঝি, মিলন ধাড়া, বিজয় মাঝি, অলোকা সাঁতরা, টুলু শী, বন্দনা মাঝি ও শিখা খাড়াৎ। ধৃত সকলের বাড়ি খণ্ডঘোষ থানার নবগ্রামে । সোমবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে । তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ প্রদীপ ও তাপসকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। সিজেএম এই দুই জনকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে শনিবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে নবগ্রামের ভাড়াবাড়িতে রয়েছে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র । পরিকাঠামো ঠিক না থাকায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পাশের বিচখাড়া গ্রামে নতুন ভবনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা জানতে পারার পর থেকেই নবগ্রামের বাসিন্দারা আপত্তি তোলে ।আপত্তির কথা তাঁরা প্রশাসনের নানা মহলেও জানান। যদিও সেই আপত্তি গ্রাহ্য হয়না ।সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা লোকজন নিয়ে মালপত্র বিচখাড়া গ্রামের নতুন ভবনে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যান ।তখন নবগ্রামের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই কর্মীদের বাধা দেয় ও মারধর করে । এমনকি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিনিসপত্রও তারা আটকে রাখে।
এই খবর পেয়ে খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের উদ্ধার করে। পরে ঘটনার কথা জানিয়ে খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ জয়ন্তী মাহাতো সরকার খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ।।