শেখ মিলন, ভাতাড়,১১ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা চাঁদনীহার খাতুন নামে এক মহিলার বাড়ি থেকে গত সোমবার এগার লক্ষ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে । ওই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ভাতাড় থানার পুলিশ । পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম হাসমত সেখ ওরফে লিচু । ধৃতের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার উদ্ধার করেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । বাকি টাকার খোঁজ পেতে ও এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তা জানার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।
মুরাতিপুর গ্রামের মালিক পাড়ার বাড়ি চাঁদনেহার খাতুনের । ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর ছোট মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে ৷ তাই গহনা তৈরির জন্য ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় একটা জমি বিক্রি করেছিলেন । ওই টাকার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকা একটা আলমারির মধ্যে ও বাকি টাকা একটা বাক্সের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন । তারপর গত শনিবার তাঁর দিদির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি বর্ধমানের নেরোদিঘিতে চলে যান । বাড়িতে তালা লাগিয়ে চাবিগুলি অন্য একটি বাড়ির গোপন জায়গায় রেখে দিয়েছিলেন । সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন বারান্দার গ্রিলে তালা লাগানো । সেই তালা খুলে ভিতরে ঢুকে তাঁর নজরে পড়ে বাকি ঘরগুলির চাবি বারান্দায় ফ্রিজের উপরে রয়েছে ।
এরপর তিনি ঘরে ঢুকে আলমারি খুলে দেখে ১১ লক্ষ টাকা ও এক ভরি সোনার গহনা চুরি হয়ে গেছে।
বিষয়টি নজরে পরার পরেই ওই মহিলা এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নামে ভাতাড় থানার পুলিশ । শেষে বুধবার রাতে অভিযোগকারীনীর প্রতিবেশী হাসমত সেখ ওরফে লিচুকে পুলিশ গ্রেফতার করে ।
চাঁদনীহার খাতুন বলেন, ‘লিচুর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল । আমাদের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল । বাড়ির সমস্ত খবরা খবর জানত সে । বাড়িতে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা রাখা আছে সে খবরও জানত লিচু । তবে সে যে এই কাজ করবে তা কল্পনাও করতে পারিনি ।’।