এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৪ মে : একদিকে দলে কোনো গুরুত্ব নেই । অন্যদিকে জেলা পরিষদের সদস্যা স্ত্রী ‘গুরুত্ব দিচ্ছে না’, ‘সর্বদা ঝগড়া করছে’, ‘প্রতিনিয়ত কুকুর-ছাগলের মত আচরণ করছে’,’ডিভোর্স দেবে বলছে’- দলীয় নেতাকে ফোন করে এমনই দু:খের কাহিনী শোনালেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের অমরারগড়ের বাসিন্দা সঞ্জয় রাজা নামে এক তৃণমূল কর্মী । আউশগ্রামের ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অরূপ মির্ধাকে ফোন করে সঞ্জয়বাবু অনুরোধ করেন,’একটা ভালো পাত্রী দ্যাখো, আমিই বা এভাবে হ্যারাসমেন্ট সহ্য করে কেন এখানে পড়ে থাকবো ?’ এদিকে দুই তৃণমূল কর্মীর এই প্রকার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে ।
প্রসঙ্গত,রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামেও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে । আগে কাটোয়া, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রামের দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতেন অনুব্রত মণ্ডল । কিন্তু তিনি গরু পাচার মামলায় জেলে যাওয়ার পর থেকেই আউশগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে । আর সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রাজা ও অরূপ মির্ধার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে । সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, বর্তমানে ব্লকের তৃণমূলের নেতারা তার স্ত্রীর কথা শুনে চলে । ফলে তিনি দলে কোনো গুরুত্ব পাচ্ছেন না । কেউ তার কথা শোনে না । এমনকি দলে কোনো একটা পদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে অরূপ মির্ধাকে প্রস্তাব রাখার জন্যও অনুরোধ করেন সঞ্জয় রাজা ।
দুই তৃণমূল কর্মীর কথোপকথন শুনুন 👇
যদিও অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিতর্কের সৃষ্টি হতে সঞ্জয় রাজা বলেন,’আমি অরূপের ঠাট্টা ইয়ার্কি করে ওই সমস্ত কথা বলেছি । এই ধরনের ব্যক্তিগত কথোপকথন রেকর্ড করে ভাইরাল করা হবে তা কল্পনাও করিনি ।’ অন্যদিকে স্বামীর এই কথোপকথন প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন জেলাপরিষদের সদস্যা কাকলী রাজা । তিনি বলেন,’আমি ভালোবেসে দল করি । তাই আমাকে যখন যা দায়িত্ব দেওয়া হয় সেটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করি । এসব নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না ।’।