এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ মার্চ : মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের জঙ্গি সরকারের আমলে দেশ জুড়ে চলা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় বাংলাদেশি নাটকের কর্ণধার নাট্যকার এহসানুল আজিজকে (বাবু) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । গ্রেপ্তারির ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে গেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী দীপান্বিতা মার্টিন । আসলে মঙ্গলবার ‘বাংলা কথা’ লাইভ পর্ব ৩২-এ অংশ গ্রহণ করে মহম্মদ ইউনূস সরকারের ভন্ডামি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন ওই দুই প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব । ওই টক’শোয়ে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও টলিউড অভিনেতা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ । শো’টি সঞ্চালনা করেন দীপান্বিতা মার্টিন ।
এহসানুল আজিজকে গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ । তিনি টক শোয়ের লিঙ্ক ও ছবি শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,’গতকাল রাতে আমাদের টক’শো এবং ভীত ইউনুস সরকারের বর্বরতার প্রমাণ। জেল বন্দী করা হলো থিয়েটার কর্মী সমাজকর্মী এহসানুল আজিজ বাবুকে।শো’ সঞ্চালিকা দীপান্বিতা মার্টিনকেও ( জাতীয় পুরষ্কার জয়ী,শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী)গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে বাংলাদেশ গোয়েন্দা পুলিশ, দীপান্বিতা বাড়ি ছাড়া। এদের অপরাধ? বাংলাদেশের বর্তমান কঠিন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ও অবাধ ক্রিমিনাল রাজত্ব, সংখ্যালঘু নিপীড়ন, বাংলাদেশে দ্রুত সুস্থ গণতান্ত্রিক নির্বাচন কামনা,ইতিহাস মুছতে অযৌক্তিক ভারত- বিদ্বেষ – ইত্যাদি নিয়ে টক-শোতে বাস্তব আলোচনা।।সুতরাং, সত্য বললেই জেল বা খুন।’
তিনি আরও লিখেছেন,’ভারত থেকে আমায় অতিথি হিসাবে এই টক-শোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাবু ভাই ও দীপান্বিতা। লাইভ অনুষ্ঠানটি গতকাল রাত ১১টা নাগাদ শেষ হবার পর থেকে এখন অবধি এই খবর। এই পোস্ট পড়ে বাংলাদেশে উগ্রপন্থা, ক্রাইম বা জেহাদীদের পক্ষের শক্তিরা আবার এই স্বৈরাচার অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে কমেন্টে ঝাঁপিয়ে পড়বেন জানি।ব্যার্থ ইউনুস সরকারকে বাঁচাবার জন্য গালমন্দ করবেন কমেন্টে। কিন্তু তাতে আপনার প্রিয় দেশকে বাঁচাতে পারবেন তো? নাকি আবার বলবেন,ভারতীয় মিডিয়ার গুজব! এসব করে আর সত্য তো ঢাকা যাবে না বন্ধু। আপনাদের মত মাত্র ৫% আহাম্মকদের জন্যই ৯৫% নিরাপরাধ বাংলাদেশীরা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিপীড়িত হচ্ছেন,অর্থ কষ্টে ভুগছেন। শুধু সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রীষ্টান-আদিবাসীরাই নয় , সত্যি বলতে চাওয়া সংখ্যাগুরু মুসলমানরাও ভীত ও নিপীড়িত আপনাদের আচরণে। পারবেন তো ৯৫% মানুষের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে গলা টিপে মেরে মাত্র ৪-৫% সর্বজ্ঞানীকে নিয়ে দেশ চালাতে?ভাবুন! চাই, এই অনাচার স্বৈরাচার অত্যাচার বন্ধ হোক প্রিয় বাংলাদেশে। “ইসলাম শান্তির ধর্ম”- প্রবাদটিকে মিথ্যে প্রমাণে উন্মত্ত জেহাদি- জামাতি উগ্রবাদী চক্রান্ত বন্ধ হোক প্রিয় বাংলাদেশে।’
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা গেছে,এহসানুল আজিজকে (বাবু) সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারের পর বুধবার তাঁকে গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ইকবাল হোসেন ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার সময় জঙ্গি হামলার হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিল আলামিন হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী । ওই মামলায় এহসানুল আজিজের নাম জড়িয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তার বিরুদ্ধে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিপন্ন করতে অন্যান্য আসামির যোগসাজশে কাজ’ করার অভিযোগ তোলা হয়েছে । এদিকে নাট্যব্যক্তিত্ব এহসানুল আজিজকে গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি পোস্ট করছে । তাঁরা তার মুক্তি দাবি করেছে ।।