এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৫ ডিসেম্বর : ভারতের নাম্বার ওয়ান শত্রু পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদের (HuJI) সন্ত্রাসবাদী এবং বিএনপির প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু (Abdus Salam Pintu)কে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের সরকার । পাকিস্তান-ভিত্তিক হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি (হুজি)-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ভারতে আক্রমণ করার জন্য অর্থায়ন ও সাহায্য করার জন্য পরিচিত ওই সন্ত্রাসবাদী । শেখ হাসিনা তাকে জেলে ঢুকিয়েছিল । দীর্ঘ ১৭ বছর জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলি শাসন ক্ষমতায় এলে মুক্তি পেয়েছে সে ।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আবদুস সালাম পিন্টু। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল হওয়ায় মুক্তি পেয়েছেন আবদুস সালাম। তিনি ওই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন । প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ অগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলা হয়। তাতে নিহত হন ২৪ জন। আহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের তিনশোরও বেশি নেতা-কর্মী। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এই হামলার ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু-সহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তারেক রহমান-সহ ১৯ জনের হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আরও ১১ জনের নানা মেয়াদের সাজা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে পিন্টু বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় ১৭ বছর কারাগারে বন্দি ছিলাম। আমার মায়ের জানাজায় আমাকে যেতে দেয়া হয়নি। আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল।’
তবে শুধু আবদুস সালাম পিন্টুর মুক্তি নয়,মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ (এবিটি)-এর প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীদেরও মুক্তি দিয়েছে । যেকারণে বিপদ বেড়েছে ভারতের ।।