এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাঠমান্ডু,০৯ সেপ্টেম্বর : নেপালে বামপন্থীদের প্রতি তীব্র ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল আজ মঙ্গলবার । রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা কমিউনিস্ট পার্টির সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে কমিউনিস্ট পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে তরুন আন্দোলনকারীরা ৷ এদিকে কমিউনিস্ট ও বামপন্থী নেতারা হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে । শোনা যাচ্ছে যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন,যেকারণে ভারতের সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে । নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে। নেপালের রাষ্ট্রপতি ওলির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। নেপালে পরিস্থিতি এখন চরম উত্তপ্ত । নেপালে হিন্দু রাজতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি তুলছে বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ।
https://twitter.com/TimesAlgebraIND/status/1965364623689089212?t=kXVQn81UN3mV0pJ0fBc0BA&s=19
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ সহ প্রায় ২৬ টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নেপাল (Nepal) সরকার। সরকারের এই একতরফা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। তবে শুধু যে এই কারণেই যে এই বিক্ষোভ তা নয়। অনেক দিন ধরেই নেপালের বামপন্থী ও কংগ্রেসের জোট সরকারের দুর্নীতি, সামাজিক বৈষম্য, অনুন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল নতুন প্রজন্মের মধ্যে। এবার সেই ক্ষোভই ফেটে পড়েছে রাস্তায়। অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে সোস্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতির চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)।
নেপালে এতবড় আন্দোলনের নেপথ্যে মূল কাণ্ডারি হলেন বছর ৩৬ এর এক তরুণ সুদান গুরুং (Sudan Gurung)। তাঁর নেতৃত্বেই নেপালের যুব সমাজ একত্রিত হয়ে বামপন্থী সরকারকে উৎখাত করে দিয়েছে ।।