প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ জানুয়ারী : বাচ্চাদের মধ্যে বেঁধেছিল অশান্তি । সেই আশান্তি ছাড়াতে গিয়ে আত্মীয়দের হাতে খুন হলেন এক যুবক।নিহতের নাম হাসিবুল শেখ (২৭)। নিশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মৌসা গ্রামে।মৃত পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত আক্কেল শেখ ও তাঁর ছেলে সরিফুল শেখকে গ্রেপ্তার করছে।খুনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ দুই ধৃতকে শনিবার কালনা মহকুমা আদালতে পেশ কর হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক দু’জনকেই ৬ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,হাসিবুল শেখের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। তাই পরিবারের অন্ন সংস্থানের জন্য হাসিবুল ভিন রাজ্যে চলে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করা শুরু করেন। ভাইঝির বিয়ে ঠিক হলে মাসখানেক আগে তিনি কেরালা থেকে মন্তেশ্বরের বাড়িতে ফিরে আসেন। কর্মস্থল কেরালায় ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।কিন্তু কেরালায় যাওয়া আর তার হল না । পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন,একটা জায়গা নিয়ে আত্মীয় আক্কেল শেখের পরিবারের সঙ্গে
দীর্ঘদিন ধরে হাসিবুল শেখের পরিবারের বিবাদ ছিল। মাঝেমধ্যে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তিও হত।মৃত যুবকের বউদি নাসরিন শেখ শনিবার বলেন,আমাদের দুই পরিবারের বাচ্চাদের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবাদ অশান্তি বাঁধে।তার জন্য আক্কেল শেখ ও তার ছেলে সরিফুল শেখ এসে আমাদের মারধর করতে শুরু করে দেয়। তা দেখে আমার দেওর হাসিবুল আমাদের বাঁচাতে আসে ।তখনই বাঁশ, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্কেল শেখ সহ তার পরিবারে ১০-১২ জন হাসিবুলের উপর চড়াও হয়। তাদের ব্যাপক মারধর করে জখম হয়ে হাসিবুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।তাকে মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
মৃতের পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন,তাঁরা হাসিবুল শেখকে পিটিয়ে হত্যায় যুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে ।।