এইদিন ওয়েবডেস্ক,বদায়ুন,০৯ এপ্রিল : দুই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল তরুনী । কিন্তু এই ত্রিকোন প্রেমের ভয়ানক পরিনতি হল এক প্রেমিকের । প্রথম প্রেমিককে সঙ্গমে ব্যস্ত রেখে দ্বিতীয় প্রেমিককে দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করাল প্রেমিকা । চাঞ্চল্যকর এই “সেক্সি অস্ত্রে” খুনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে । মৃত শিবংশু গৌতমকে হত্যার অভিযোগে তার প্রেমিকা তনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ তাকে জেরা করতেই বেড়িয়ে আসে ত্রিকোন প্রেমের মর্মান্তিক পরিনতির কাহিনী । পরে পুলিশ তরুনীর দ্বিতীয় প্রেমিক সানি কাশ্যপকেও গ্রেফতার করেছে ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,বেরিলির সিভিল লাইনস এলাকার আরিফপুর নওয়াদার বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী শিবাংশু গৌতম বিএসসি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাবা মুদিখানা দোকান চালান । পড়াশোনার পাশাপাশি বদায়ুনে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সাথে জড়িত ছিলেন শিবাংশু । সেই সূত্রে তরুনী তনুর সাথে তার পরিচয় ও প্রেম । দু’জনের মধ্যে বহুবার শারিরীক সম্পর্ক হয় । পাশাপাশি একই কাজ করা সানি কাশ্যপের সঙ্গে প্রেম ও শারিরীক সম্পর্ক তৈরি হয় তনুর । বছর দেড়েক ধরে দুই প্রেমিকের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই তরুনী । কিন্তু শিবাংশুর সঙ্গে তনুর শারীরিক সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি সানি । এরপর তনু ও সানি মিলে শিবাংশুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে ।
জানা গেছে,গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নিজের বাইকে চড়ে রওনা হয় শিবাংশু । কিন্তু সে আর বাড়ি ফেরেনি । পর সোমবার বরেলির বনশিংলার কাছে রেললাইনের ধারে ঝোপের মধ্যে শিবাংশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । যুবকের পরিচয় জানার পর তার প্রেমিকার উপরেই পুলিশের প্রথম সন্দেহ গিয়ে পড়ে । প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পুলিশের ম্যারাথন জেরায় সে ভেঙে পড়ে এবং শিবাংশুকে হত্যার কথা কবুল করে ।
ঘাতক প্রেমিকা পুলিশের জেরায় জানায় যে গত ২ এপ্রিল সে শিবংশুকে ডেকে নেয়। প্রথমে তারা বদায়ুনের বিভিন্ন জায়গায় ঘন্টা দুয়েক ধরে ঘোরাঘুরি করে । এরপর তারা রাত দশটার দিকে বদায়ুন শহরের সুভাষ নগরে অবস্থিত তরুনী তার বাড়িতে পৌঁছালে শিবংশু ও তনু যৌন মিলন শুরু করে । কিন্তু পরিকল্পনা মত ওই ঘরেই যে সানি লুকিয়ে ছিল তা টের পায়নি শিবংশু । শিবংশু যখন তার প্রেমিকার সঙ্গে যৌন মিলনে মত্ত সেই সময় বেরিয়ে আসে সানি । তারপর সে কোনো কিছু দিয়ে শিবংশুর গলা পেঁচিয়ে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । হত্যার পর শিবংশুর দেহটা ঘরে লুকিয়ে রাখে সানি ও তনু । গভীর রাতের দিকে তারা দেহটা বরেলির বনশিংলার কাছে রেললাইনের কাছে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসে । হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে নির্দ্বিধায় বর্ণনা করে ঘাতক প্রেমিকা । এই দেখে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান পোড় খাওয়া পুলিশ আধিকারিকরা ।।