এইদিন ওয়েবডেস্ক,চণ্ডীগড়,১৮ সেপ্টেম্বর : কলেজের সহপাঠিনীদের স্নানের ভিডিও করে এক যুবককে পাঠাতো তরুনী । আর ওই যুবক সেই ভিডিও পোস্ট করতো ইন্টারনেটে ৷ শেষে তরুনীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কলেজের বাকি ছাত্রীরা । এদিকে ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কায় ৯ ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে । তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে । শনিবার রাতে পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । ঘটনার পর দূর্নামের ভয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় ক্ষিপ্ত ছাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা । শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । অভিযুক্ত ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,অভিযুক্ত ছাত্রী যে যুবককে তাঁর সহপাঠিনীদের আপত্তিকর ভিডিও পাঠাতো সে সিমলার বাসিন্দা । ওই যুবকও স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া । ইতিপূর্বে ওই ছাত্রী প্রায় ৬০ টির মত ভিডিও তাকে পাঠিয়েছিল । আর মেয়েটি টাকার লোভই এই ঘৃণ্য কাজ করছিল বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাথরুমের ভিতর গিয়ে সে সহপাঠিনীদের ভিডিও করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় । এরপর অভিযুক্ত তরুনীকে হোস্টেলের একটি ঘরে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ । শেষে নিজের দোষ কবুল করে মেয়েটি । এরপর কলেজের বাকি ছাত্রীরা ও স্থানীয় কিছু লোকজন কলেজের গেটের সামনে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে নিরাপত্তারক্ষীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চণ্ডীগড় থানার পুলিশ । পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় ।
পাঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী হরজোত সিং বেইনস (Harjot Singh Bains) পড়ুয়াদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।।