এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১৫ অক্টোবর : মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার দল) নেতা বাবা সিদ্দিকীর হত্যা মামলায় পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তিনজন এখনও পলাতক । বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। খবরে বলা হয়েছে, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম ও সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বাবা সিদ্দিকীকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ও বিজেপি নেতা হরনাথ সিং যাদব সালমান খানকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিজেপি নেতা হরনাথ সিং যাদব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, ‘বিষ্ণোই সমাজ হরিণকে দেবতা মনে করে এবং পূজা করে। আপনি তাকে শিকার করেছেন, যার কারণে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। তার এই প্রকার বড় ভুলের জন্য বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং শুটাররা সালমান খানকে দুবার গুলিও করেছিল । এর বাইরে লরেন্স গ্যাং সালমান খানের বাড়িতে তিনবার গুলি চালায় । প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে, ‘হাম সাথ-সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন, সালমান খান তার সহ-অভিনেতার সাথে যোধপুরে শিকারে গিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালের ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়া ফার্ম হাউসে একটি হরিণ শিকার করা হয়। ঘটনার মূল আসামি অভিনেতা সালমান খান । ওই বছর পয়লা অক্টোবর রাতে যোধপুরের কানকানি গ্রামে ২ টার দিকে গুলির শব্দ শোনা যায়। গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান দুটি হরিণ শিকার করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা একটি জিপসিকে সলমনদের পালিয়ে যেতে দেখেন। ১৯৯৮ সালের ১২ অক্টোবর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার হন সালমান খান। পাঁচ দিন জেলে থাকার পর ১৭ অক্টোবর যোধপুর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান অভিনেতা । এরপর ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল, সালমান খান হরিণ শিকারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ৭ এপ্রিল, সালমান খান ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান এবং একই দিনে মুক্তি পান। বাবা সিদ্দিকীর হত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টে পলাতক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের পাশাপাশি সলমন খানের নামও উল্লেখ করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।।