🌼 “কর্ম হতেই সুখ দুঃখ সব। তাঁকেও কর্মফল ভােগ করতে হয়েছিল। ঠাকুরের বড় ভাই বিকারের সময় জল খাচ্ছিলেন। একটুখানি খেতেই ঠাকুর হাত থেকে গ্লাসটি টেনে নিলেন । তিনি তাতে অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, ‘তুই আমাকে জল খেতে দিলি নি, তুইও এমনি কষ্ট পাবি, তােরও গলায় এমনি যাতনা হবে ।’ ঠাকুর বললেন, ‘দাদা, আমি ত তােমার মন্দ করিনি। তােমার অসুখ, জল খেলে অনিষ্ট হবে, তাই দিই নি। তবে কেন তুমি আমায় এমন শাপ দিলে ?’ তিনি কেঁদে বললেন,’কি জানি, ভাই, আমার মুখ থেকে ওকথা বেরিয়ে পড়ল । এ ত অন্যথা হবে না।’ ঠাকুরের অসুখের সময় আমাকে বললেন,’এই তাঁর শাপে গলার ঘা । তা তােমাদের আর কারু কিছু হবে না ; যা ভােগ আমারই হল। আমি বললাম, এমন হলে মানুষ কি করে থাকবে, যখন তােমারই এরূপ হল ? তিনি বললেন, ‘তাঁর যে সিদ্ধবাক্য ছিল, ভাল লােক। এমনি যে-সে বললে কি হয় ?’
কর্মফল ভুগতে হবেই। তবে ঈশ্বরের নাম করলে যেখানে কাল সেঁধুত সেখানে ছুঁচ ফুটবে। জপ তপ করলে কর্ম অনেকটা খণ্ডন হয় । যেমন সুরথ রাজা লক্ষ বলি দিয়ে দেবীর আরাধনা করেছিল বলে লক্ষ পাঁঠায় মিলে তাঁকে এক কোপে কাটলে । তার আর পৃথক লক্ষবার জন্ম নিতে হল না। দেবীর আরাধনা করেছিল কিনা । ভগবানের নামে কমে যায় ।”
শ্রীশ্রীমায়ের কথা-দ্বিতীয় ভাগ পৃষ্ঠা-১১৪