হিন্দু মেয়েদের উদ্দেশ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন বাগেশ্বর বাবা ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী । তিনি বলেছেন, “তু লক্ষ্মী বন, তু দুর্গা বন, তু কালী বন, পর হিন্দু বেটিও কভি না তু বুর্খেবালী বন”৷ রজত শর্মার বিখ্যাত শো ‘আপ কি আদালতে’ উপস্থিত হয়ে একথা বলেন তিনি । আসলে, দর্শক আসন থেকে একজন ভক্ত প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কোনো হিন্দু মেয়ে প্রেমের ফাঁদে পরে বিয়ে করার পর জানতে পারে যে তার প্রেমিক একজন মুসলিম । এই প্রবনতা কিভাবে বন্ধ করা যায় ?
উত্তরে ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী বলছেন, ‘একটা কথাই বলতে চাই যে প্রথমতঃ, প্রেম করা অপরাধ নয় । কিন্তু মা-বাবার থেকে জরুরিও নয় ৷ দ্বিতীয়তঃ, প্রেম করো ঠিক আছে কিন্তু দেশে প্রচুর বহুরূপী ঘুরে বেড়াচ্ছে । কিছু মেয়েরা বহুরূপীদের খুব পছন্দও করছে৷ গতবার আমি একটা বয়ান দিয়েছিলাম যা নিয়ে লোকেরা খুব বিতর্ক করেছিল৷ কিন্তু ওই বয়ানটা ছিল খুব পবিত্র একটা বয়ান ।’
তিনি বলেন,’আমি কোন সম্প্রদায়ের বিরোধী নই । আমি রস খানে দোহাও গাই । আবার রাষ্ট্রের প্রসঙ্গ এলে আমি আব্দুল কালামকেও স্যালুট করি । কিন্তু লাভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ, মূত্র জিহাদ, থুতু জিহাদের বিরুদ্ধে আমি । এই কারণেই আমি লোকেদের নিশানায় আছি । কারণ আমি সত্য বলি এবং মুখের ওপর বলি৷’ তিনি বলেন,’যতদিন আমার শরীরে প্রাণ আছে ততদিন আমি আমার স্বভাব ছাড়বো না। হিন্দু এবং হিন্দুস্তানের জন্য বাঁচবো৷ কিন্তু আমি হিন্দু মেয়েদের কাছে প্রার্থনা করব যে “বেটি তু লক্ষ্মী বন, তু দুর্গা বন, তু কালী বন, পর হিন্দু বেটিও কভি না তু বুর্খেবালী বন” ।’
বাগেশ্বর বাবা ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রীর এই মন্তব্যের পর প্রবল হাততালি পড়ে । ফের তিনি বলতে শুরু করেন, আর আমি এটাও বলতে চাই যে মুসলমান বোনেদের প্রতি আমার কোন ঘৃণা নেই,বরঞ্চ সম্মান আছে। তোমরা তোমাদের সম্প্রদায়কে সম সামলে রাখো, আমরা আমাদের মেয়েদেরকে সামলে রাখছি ৷ এটা ঘৃণমূলক বিবৃতি নয় । আমরা মুসলমানদের হিন্দু বানাতে চাই না৷ আমরা খ্রিস্টানদের হিন্দু বানাতে চাই না । ইতিহাসে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই যেখানে তরবারির ভয় দেখিয়ে কোন মুসলমানকে হিন্দু বানানো হয়েছে । কিন্তু আমাদের মেয়েদেরকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে ? আজ আমাদের শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করা হয়েছে । কলকাতায় আমাদের ডাক্তার মেয়েকে মারা হলো । মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে রফিক নামে একটা ছেলে গলা কেটে দিল । এই কারণে কাটলো কারণ মেয়েটা তার সাথে থাকতে চায়নি । এ থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায় হল প্রেম করার আগে খোঁজখবর নাও, তাকে যাচাই করে দেখো । পরে ওর পরিবারের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানো । কিন্তু এই নয় যে হাতে লাল তাগা পরলেই সে হিন্দু । হতে পারে সে কালনেমি ।’
উল্লেখ্য, কালনেমি হলেন একজন পৌরানীক অসুর । অন্ধকার সময়ের প্রতিনিধিত্ব করেন কালনেমি। ত্রেতা যুগে হনুমান সঞ্জীবনী আনতে যাওয়ার সময় সাধু সেজে তাঁকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন কালনেমি। স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী, অমৃতমন্থনের সময় ভগবান বিষ্ণু নিধন করেছিলেন কালনেমিকে। দ্বাপর যুগে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন মথুরার রাজা কংস হয়ে। সেই কালনেমি অসুরের নামেই ছদ্মবেশী সাধুদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে উত্তরাখণ্ডের ধামি সরকার।।