এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,০৩ মার্চ : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ওপর বাম এবং অতিবাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেই দুষলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করছ, বাঘের পিঠে চড়েছ, ভুগতে হবে’ । পাশাপাশি তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, ব্রাত্য বসু- ওয়েব কুপা ও ছাত্র সংগঠনের অফিসে চিরস্থায়ী তালা লাগানোর দাবি তোলেন ।
আজ সোমবার উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে যাদবপুরের বাম ও অতিবাম ছাত্রদের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এরা ছাত্র নয় ‘মাকু’ । যারা বলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদী’ তারা কি ছাত্র নাকি ? এর জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি৷ ২০১৯ সালের তৎকালীন ভারত সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূলের মন্ত্রী, তার ওপর যখন আক্রমণ হয় মমতা ব্যানার্জি বিজেপি বলে পুলিশকে আটকে রেখেছিল । তদানীন্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে । ২০২৩ সালে আমাকে যখন মাওবাদীরা আক্রমণ করে যাদবপুরের গেটে,পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছিল, তাদেরকে মমতা ব্যানার্জির রাত্রি বারোটার সময় ফোনে মুক্তি দেয়৷ ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করেছ ভুগতে হবে ।বাঘের পিঠে চড়েছ৷’
তিনি বলেন,’যারা জাতীয় পতাকা তোলে না, বন্দেমাতরম গায় না, জাতীয় সংগীত মানে না, সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করে, কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদী বলে, টুকরো টুকরো গ্যাং, সব সমান । যারা সেকুলারিজমের কথা বলে তারা যেমন আর যারা মাওবাদীর কথা বলে, ভারতীয় সংবিধান কে মানে না, গোমতী থেকে গোদাবরী আলাদা দেশ চায় তারাও সমান ।’
এরপর শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন,’যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঠন পাঠন গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি গাইডলাইন মেনে শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচি ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া হোক । অবিলম্বে ছাত্র সংসদের এবং ওয়েব কুপার অফিসের তালা লাগানো হোক । ব্রাত্য বসু এবং সেকু মাকুদের ছাত্র সংগঠনের অফিসে তালা লাগানো উচিত । মাওবাদীদের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।’
রাজ্যে ভুয়াভোটার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভুয়া৷ এখানে শাহজাহান সাতক্ষীরা থেকে রোহিঙ্গা মুসলমান এনে বসিয়েছে । এই সন্দেশখালিতে যদি তল্লাশি চালানো হয় তাহলে অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান পাওয়া যাবে । যারা ভারতবর্ষের নাগরিক নয়, অনুপ্রবেশকারী । শাহজাহানের গাড়ি যে চালাত সেই তো রোহিঙ্গা ।’।
.