এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১৯ নভেম্বর : উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকার হালাল প্রত্যয়িত পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । খাদ্য বিক্রির জন্য জাল হালাল শংসাপত্র জারি করে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভোক্তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে শোষণ করার অভিযোগে পুলিশ প্রথমে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায় করে । পরে শনিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার হালাল প্রত্যয়িত খাদ্যসামগ্রী এবং বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । এই নিষেধাজ্ঞা ওষুধসহ হালাল প্রত্যয়িত পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে । তবে সূত্রের খবর, যেসব পণ্য রপ্তানি হয় সেগুলোর ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
লখনউয়ের আইশবাগের বাসিন্দা শৈলেন্দ্র কুমার শর্মার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে হজরতগঞ্জ থানায় চেন্নাইয়ের হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, দিল্লির জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট এবং মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ও জমিয়ত উলামা প্রভৃতি হালাল সংস্থার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয় । এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সংস্থাগুলি অর্থের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে জাল হালাল সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সনদ দেওয়ার কোনো কর্তৃত্ব নেই বলেও বলা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট । ওই ট্রাস্ট বলেছে যে তারা ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে এবং তারা বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত সরকারি প্রবিধান অনুসরণ করছে । যে ভোক্তাদের হালাল পণ্যের প্রয়োজন নেই তারা সেগুলি প্রত্যাখ্যান করতে পারে বলে জানিয়েছে জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট ।
প্রসঙ্গত,ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টকে ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয় । যেখানে একটি এফএসএসএআই এবং আইএসআই খাবারের গুণমান পরিদর্শন করে এবং এটির সাথে সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট আইন ৩(১) হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল ।।