এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৮ অক্টোবর : ছটপূজোতেও ভুল মন্ত্র উচ্চারণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিদ্রুপের শিকার হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । মমতার ভুল মন্ত্রোচ্চারণের ক্রমের “আগে” ও পরের “নতুন রিলিজ” সংযোজিত “মমতার জন্য মনোরঞ্জন,অপমানিত সনাতন” শীর্ষক একটি ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করেছেন শুভেন্দু । ভিডিওতে “আগে”-এর অংশে মমতা ব্যানার্জিকে বলতে শোনা যায়, “সরস্বতী পূজোর মন্ত্র জানো তোমরা ? হাম কহে রাহা হু…আমি বলছি ।
“জয়জয় দেবী চরাচর সারে/ কুচসিইচো ভুইতো মুক্তহারে / বিনা পুস্তক রঞ্জিত হস্তে / সরসেতি মহাভাগে বিদ্যা কমললোচনে / বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী সরসতৈ নম নমোহ ।” এরপর তিনি বলেন,”ওং জয়ন্তী মঙ্গলাকালী ভদ্র কালী কপালিনী / দুর্গা শিবা ছমা ধাত্রী সাহা সধা নমহস্তুতে৷ মধূকৈটভ বিদ্যা..বি…ভি…বিভু….বরদে” । এরপর তিনি মাথা নেড়ে মুখে একবার “চুক” আওয়াজ করে বলেন, “সব শ্রীকুমারদা আমার নষ্ট করে দিল ।”
শুভেন্দু অধিকারীর “নতুন রিলিজ”-এ মুখ্যমন্ত্রীকে ছটপূজো উপলক্ষে মঞ্চে ভাষণ দিতে দেখা যায় । ভাষণে ছটের মন্ত্র উচ্চারণ করে বলেন,”হম তো কহি নেহি যায়ূঙ্গি । জয় জয় জয় ছট…ছটি মাইয়া, ছট্টি ছট্টি জয় ।’ ফের বলেন,’জয় জয় জয় ছট্টি মাইয়া ছট মাইয়া কি জয় । ছুট্টি ছুট্টি নেহি । ছট্টি মাইয়া কি ছট পূজা কি জয় ।”
প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’সরস্বতী মন্ত্র ভুল, চণ্ডীপাঠ ভুল, ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভিরমি খাওয়ার জোগাড়! জেনে বুঝে করুন বা অজ্ঞতার নিদর্শন হোক মূল ব্যপার হলো সনাতন সংস্কৃতি রপ্ত করা এনার পক্ষে সম্ভব নয়…।”
আরও একটা বিষয় হল যে হিন্দিভাষীদের পূজোয় সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা ব্যানার্জি শুভেচ্ছা পোস্ট লিখেছেন ইংরাজিতে । যার বাংলায় তর্জমা করলে হয় : “ছট পূজা গভীর বিশ্বাস, ভক্তি এবং শৃঙ্খলার উৎসব। যারা এই পবিত্র উপলক্ষটি পালন করেন তারা দিনভর উপবাস করেন এবং সকলের মঙ্গলের জন্য ছটী মাইয়াকে আশীর্বাদ করে অস্তগামী এবং উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করেন। ছট পূজার প্রাক্কালে, আমি ২০২৫ সালের ছট মহোৎসবে যোগ দিয়েছিলাম এবং উদযাপনের জন্য প্রস্তুত সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের মা-মাটি-মানুষ সরকার নিশ্চিত করেছেন যে ভক্তরা ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, সঠিক আলোকসজ্জা এবং স্যানিটেশন ও সুরক্ষার জন্য জোরালো ব্যবস্থার মাধ্যমে এই পবিত্র উপলক্ষটি স্বাচ্ছন্দ্যে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে উদযাপন করতে পারেন। আমি সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক, কলকাতা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবা এবং কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের প্রতি তাদের অক্লান্ত সমন্বয়ের জন্য কৃতজ্ঞ।
দহি ঘাটের বিপরীতে অবস্থিত মন্দিরটি, যা সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। আমি যখন শেষবার গিয়েছিলাম, তখন ভক্তরা এটি সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি আনন্দিত যে এটি এখন পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে, যা আমাদের যৌথ বিশ্বাস এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। ভক্তরা আগামীকাল ছঠি মাইয়াকে তাদের প্রার্থনা করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়, আমি প্রার্থনা করি যে তাঁর ঐশ্বরিক আশীর্বাদ বাংলার প্রতিটি ঘরে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।”।

