এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৪ জুন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে পরাস্ত করতে মহাজোট গঠনের ডাক দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার । সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার বিহারের রাজধানী পাটনায় উপস্থিত হয়েছিল বিজেপি বিরোধী দলগুলি । উপস্থিত ছিলেন রাহুল গাঁধী, সিতারাম ইয়েচুরি,মমতা ব্যানার্জি, লালু প্রসাদ যাদব, উদ্ভব ঠাকরের মত তাবড় নেতারা । এরাজ্যে বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএমকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জির সাথে দেখা গিয়েছিল এক মঞ্চে । এনিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
আজ শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে মমতা ব্যানার্জির সাথে রাহুল গাঁধী ও সিতারাম ইয়েচুরির ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু লিখেছেন,’বাংলায় কুস্তি, আর দিল্লিতে (পাটনায়) দোস্তি !’ পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের তকমা হারানোর পর ও বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিরোধী পরিসর দখল করে নেওয়ায় সন্ত্রস্ত হয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস মিলে “তৃণমূল-বিজেপি সেটিং” এর আষাঢ়ে গল্প বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
২০১১ থেকে ২০২১ সাল অবধি দু’দফায় বিরোধী দল থেকেও একপ্রকার তৃণমূল সরকারের থেকে সুবিধে ভোগ করে মেকি বিরোধীতার নাটক করে গিয়েছে এই দুই দল। এর ফলেই তৃণমূল নেতারা চুরি ডাকাতি করার সাহস পেয়ে গিয়ে “আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ” হয়ে যায় ।’
এরপর শুভেন্দু লেখেন,’এবার বাস্তব চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। পাটনায় সিপিএম ও কংগ্রেস; আঞ্চলিক তৃণমূল দলের সাথে সমঝোতা করছে, আর এদিকে তাদের কর্মীরা খুন হচ্ছেন, প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হচ্ছে, বি ফর্ম জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। নিচের ছবি দুটো দেখলেই বোঝা যায় যে কে কার সাথে বসে সেটিং করছে।
আসলে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম আর কংগ্রেস হলো তৃণমূলের বি টিম। তাই পশ্চিমবঙ্গের জনগনের মধ্যে এদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। বাংলার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কে বোকা ভাববেন না, তারা সব দেখছেন, তারা সব বোঝেন ।’
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে পাটনায় ১৫ টি দলের বৈঠককে ‘কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবারের গেট টুগেদার’ বলে কটাক্ষ করে বলেছেন,’২০১৯ সালেও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ নামে একটা জোট তৈরি করা হয়েছিল । তার ফল ভারতবর্ষ দেখেছে ।’ শুভেন্দু বলেন,’করুনানিধির পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে চাইলে ডিএমকে’কে ভোট দিন । লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে আরজেডিকে ভোট দিন । মুলায়েম সিং যাদবের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে সমাজবাদি পার্টিকে ভোট দিন । সারদ পাওয়ারের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে এনসিপিকে ভোট দিন । মমতা ব্যানার্জির পরিবারকে আরও চুরি করার সূযোগ দিতে চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন । আর দেশকে যদি বাঁচাতে চান তাহলে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন । এসব করে কিচ্ছু হবে না ।’।