এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,২৭ ডিসেম্বর : তৃণমূলে যোগ দিতে অস্বীকার করায় রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের বিরুদ্ধে । এমনকি শিশুদের উপরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । ক্ষিপ্ত শুভেন্দু আক্রান্ত মহিলাদের নিয়ে নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন । তিনি ডিউটি অফিসারকে বলেন,’ডিউটি অফিসার কে ? এর বাড়িতে কে গিয়েছিল ? এই মহিলাকে কে মেরেছে ? এর বাড়িতে কে গিয়েছিল জানতে চাই । আমি এলাকার বিধায়ক । এই মহিলাকে কে মেরেছে জানতে চাই । এই বাচ্চাটাকে কে ফেলে দিয়েছে? কে গিয়েছিল এর বাড়িতে ? কোন মস্তান ? ডাকুন আইসি কে ? শাড়ি ছিঁড়েছে, ব্লাউজ ছিঁড়েছে, ডাকুন ।’
শুভেন্দু অধিকারীদের চরম উত্তেজিত দেখা যায়। তিনি জানতে চান,’সিভিল ড্রেসে গিয়েছিল কোন গুন্ডা ? আপনাকে জানাতে হবে । কোন গুন্ডা, কোন জিহাদী গেছিল জানতে চাই । খোঁজ নিয়ে বলুন । গৌরাঙ্গ ধরাকে ধরতে গিয়েছিল, সে আমরা বুঝে নেব । আপনি বাড়িতে গিয়ে মহিলার শাড়ি ছিঁড়েছেন, তার বাচ্চাকে ফেলেছেন । সিভিল ড্রেসে পুলিশ যেতে পারে না । বডি ক্যামেরা ছাড়া পুলিশ যেতে পারেনা।’
এরপর তিনি নন্দীগ্রামের আইসিটির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গুন্ডা হয়ে গেছে ? ওর বাপ যা বলবে তাই করতে হবে? আপনি মহিলার ব্লাউজ ছিঁড়বেন ? সিভিল ড্রেসে তারা জিহাদী না কোন জঙ্গি, নাকি বাংলাদেশি রোহিঙ্গা ? তিনি বলেন, পুলিশ বাড়িতে যাবে সুনির্দিষ্ট মামলায় । ৪১-এ নোটিশ দিয়ে যেতে হবে । পুলিশকে বডি ক্যামেরা ড্রেসে যেতে হবে ইউনিফর্মে ।’ শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে আক্রান্ত মহিলাদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করবেন ।
আক্রান্ত মহিলাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা গ্রামের সক্রিয় বিজেপি কার্যকর্তার বাড়িতে নন্দীগ্রাম থানার আইসির নির্দেশে পুলিশ কোনোরকম আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই, বিনা নোটিশে সাধারণ বেশে রাত্রে হানা দেয়। কারণ কি? না তাকে তৃণমূলে যোগ দিতে হবে। তফসিলি সম্প্রদায়ের ঐ বিজেপি কার্যকর্তা সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাকে না পেয়ে পুলিশ তার স্ত্রী ও ছোটো কন্যার উপর অত্যাচার করে, মারধর ও করে, বাচ্ছাটি কে ফেলে দেওয়া হয়, মহিলার পরনের পোশাক ছিঁড়ে দেয় হয় ছবি ভিডিও নিচে দ্রষ্টব্য। শুধু তাই নয় কোনো মহিলা পুলিশ সে সময় ছিলেন না, পুলিশের সাথে কোনোও বডিক্যাম ও ছিল না।’
তিনি আরও লিখেছেন,’আমি মমতা প্রশাসন কে সাবধান করতে চাই আপনারা এই ধরণের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করুন। এভাবে মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে, চাপ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলীকরণ করা যাবে না। এই ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা মহামান্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব, প্রয়োজনে যা যা করার সব করব, এই ঘটনার আমরা শেষ দেখে ছাড়বো।’।

