এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৯ এপ্রিল : রাজ্য রাজনীতিতে “জয় শ্রীরাম” স্লোগানকে ঘিরে বহুবার বিতর্ক হয়েছে । খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও এই স্লোগান নিয়ে আপত্তি তুলতে দেখা গিয়েছিল । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের আক্রান্তও হতে হয় বলে অভিযোগ । এবার এই স্লোগানকে ঘিরে নদিয়ার রানাঘাটে এক মহিলাকে পিটিয়ে খুন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ডায়মন্ডহারবারে গ্রাম্য কালীর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ উঠেছে ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নদীয়ার রানাঘাট থানার পায়রাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি কর্মকার। তার স্বামী সুবল কর্মকার বর্তমানে রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে ।
আহতের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার । সেখানে গিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি করেন । জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, আক্রান্ত সুবল সরকার বিজেপির কর্মী। তাঁর অল্পবিস্তর মানসিক সমস্যা রয়েছে। জয় শ্রীরাম বলার কারণেই তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর উপর হামলা চালানো হয় । পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় তাঁর স্ত্রীকে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর। যদিও জগন্নাথ সরকারের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ।
অন্যদিকে কলকাতার বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝির অভিযোগ যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে কালাগাছিয়া থানার সরিষা গ্রামে শনিবার রাতে রক্ষা কালী মূর্তি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় শ্রীরামের ভক্তিমূলক গান বাজানোর অপরাধে পূণার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতার বাইক বাহিনী । আজ মঙ্গলবার ভোরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জলন্ত অগ্নিসংযোগের ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আক্রমণের মুখে হিন্দুরা।শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারের কালাগাছিয়ার সরিষা গ্রামে মা রক্ষা কালী মূর্তি বিসর্জন করতে যাওয়ার সময় হিন্দুরা প্রভু শ্রীরামের ভক্তিমূলক গান বাজছিল।হঠাৎ কিছু জিহাদি তাদের আক্রমণ করে এবং অনেক হিন্দু গুরুতর আহত হয়।’
তাঁর অভিযোগ,’এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা বলে স্পষ্ট । পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দ্বারা র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। টিএমসির ব্লক সভাপতি শেখ শামীম মোটর বাইকে করে ১০০ জনেরও বেশি জিহাদি পাঠিয়েছিলেন । অন্যদিকে ফলতা থেকে শেখ জাহাঙ্গীর খানের সাইকেল বাহিনী সরিষার দিকে অগ্রসর হয়।’
তিনি হিন্দুদের পরামর্শ দিয়েছেন,’পরিবারের নারী ও মেয়েদের জীবন ও সম্মান রক্ষার জন্য, হিন্দুদের সর্বদা যুদ্ধ করতে এবং যেকোনো ধরনের আগ্রাসনকে নিষ্ক্রিয় করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদিও মনে হয় যে হিন্দুরা তাদের উপর চালানো অত্যাচারের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। শয়তানের সাথে লড়াই করতে না পারলে পূজা করে কোন লাভ নেই।’।