এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পুর্ব বর্ধমান),১৩ জুন : বিহারের এক কুখ্যাত দুস্কৃতীকে তুলে নিয়ে এসে খুন করার পরে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল । গত ১ জুন দেহ উদ্ধারের ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যেই খুনের কিনারা করল জেলা পুলিশ। খুনের ঘটনায় বিহারের সমস্তিপুর জেলা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে খুনের সময় ব্যবহার করা একটি গাড়ি। রবিবার একথা জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়।
গত ১ জুন সন্ধ্যায় আউশগ্রামের বড়া গ্রামের কাছে ২ বি জাতীয় সড়কের ধারে নয়ানজুলি থেকে ৪৫ বছরের এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের প্রথমে মনে হয়েছিল করোনা রোগীর দেহ ফেলে যাওয়া হয় ।ময়নাতদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় তাকে খুন করা হয়েছে। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে । মৃত ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে পুলিশ প্রথমে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ।
জানা যায় ৩১ মে রাতে গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি একটি হোটেলে ওই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল। তারপর পুলিশ গুসকরা শহর, এবং সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভিগুলির ফুটেজ পরীক্ষা করে । পুলিশ জানতে পারে ওইদিন একটি চার চাকা গাড়ি বর্ধমানের দিকে গিয়েছিল। পরেরদিন ওই গাড়িটিকেই ফের বর্ধমানের দিক থেকে গুসকরার দিকে ফিরতে দেখা যায়। সন্দেহজনক ওই গাড়িটিকে ধরে তদন্তে এগোতে থাকে পুলিশ। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে গাড়ি মালিকের নাম ঠিকানা জানতে পারে। তারপর পুলিশ বিহারের সমস্তিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে এবং ওই গাড়িটিকে আটক করে।
পুলিশ জানায় ওদিন যার দেহ উদ্ধার হয় সেই নিহত ব্যক্তির নাম মহম্মদ খালিদ আনোয়ার ওরফে জুগনূ। সমস্তিপুর জেলার বিথান থানা এলাকার লাধ কাপাসিয়া এলাকায় তায বাড়ি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে মহম্মদ খালিদ আনোয়ার গাঁজা ও অস্ত্র কারবারে যুক্ত ছিল। একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল। টাকা পয়সা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।।