এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,০৮ অক্টোবর : উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। মেরাজ নামে এক ব্যক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার স্ত্রী নাসিমুনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। সমাধান দিবস উপলক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “স্যার, আমার স্ত্রী রাতে নাগিনীর রূপ ধারন করে আমাকে ছোবল মারতে আসে ।” সে দাবি করেছে যে তার স্ত্রী “নাগিন হয়ে যায়” বলে ভয়ে তিনি রাতে ঘুমাতে পারেন না। অন্যদিকে, তার স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
গত ৪ অক্টোবর সমাধান দিবস (জনসাধারণের অভিযোগ প্রতিকার দিবস) উপলক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক আনন্দের কাছে জমা দেওয়া একটি লিখিত অভিযোগে, মাহমুদাবাদ তহসিলের লোধাসা গ্রামের অভিযোগকারী মেরাজ কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী, নাসিমুন, মানসিকভাবে অস্থির এবং রাতে নাগিনের মত আচরণ করে, সাপের মতো লক লক করে জিব দেখায় আর হিস হিস করে শব্দ করে আমাকে ভয় দেখায়।” মেরাজ অভিযোগ করেন যে, বারবার আবেদন করার পরেও স্থানীয় পুলিশ এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, যার ফলে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে অভিযোগ প্রতিকার কর্মসূচিতে উপস্থিত কর্মকর্তারা এই প্রকার অস্বাভাবিক অভিযোগটি শুনে হতবাক হয়ে যান ৷ যদিও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এই অভিযোগের পরে মঙ্গলবার মেরাজের স্ত্রী নাসিমুনের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয় যেখানে তিনি দাবি করেন যে তার স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে হয়রানি করে এবং সে ফের বিয়ে করতে চায় । নাসিমুনের অভিযোগ, মেরাজ তার দ্বিতীয় বিয়ের জন্য এই সব বাহানা করছে। তিনি তার বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য তাকে হয়রানির অভিযোগও করেন। নাসিমুনের চার মাসের গর্ভবতী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং তিনি আরও দাবি করেন যে মেরাজ তার চিকিৎসা বা খাবারের খরচ বহন করছে না।।