এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,২০ ডিসেম্বর : গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন কর্ণাটকের তুমকুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছরের রমেশ । কিন্তু তার দুই সহকর্মীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তার স্ত্রী শিল্পা । একথা জানতে পেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেই রমেশ । তার আগে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে তার স্ত্রী এবং দুই সহকর্মীর নাম লিখে গেছেন তিনি । এ ব্যাপারে যশবন্তপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মৃতের স্ত্রী শিল্পা, সঞ্জু ও আর এক সহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে যশবন্তপুর রেলওয়ে পুলিশ ।
জানা গেছে,রমেশ যে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন সেখানে তার শিল্পার সাথে দেখা হয় এবং তারা ২০০৪ সালে বিয়ে করেন । রমেশ ও শিল্পার একটি মেয়ে আছে । মেয়েটি কলেজ ছাত্রী । একই একই পোশাক কারখানায় কাজ করত সঞ্জু ও আর এক অভিযুক্ত । সেই সূত্রে রমেশ-শিল্পার দুই বন্ধুর তাদের বাড়িতে যাতায়ত ছিল ।
জানা গেছে,রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রমেশ আত্মহত্যা করার পরে, যশোবন্তপুর রেলওয়ে পুলিশকে ট্র্যাকের উপর একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের উপস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে রমেশের লাশের পাশে থাকা মোবাইলে একটি কল আসে ।পুলিশ উত্তর দিলে, কলকারী বলে যে তারা রমেশের আত্মীয় এবং পুলিশকে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন ৷
পরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা রমেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং নিয়মিত তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। রমেশ তার স্ত্রীর সাথে ওই দু’জনের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতেন না । সম্প্রতি তিনি জানতে পারলে তীব্র হতাশায় ভুগতে থাকেন । শেষে তিনি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন ।
তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারার অধীনে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে যশবন্তপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ।।