এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,১০ ফেব্রুয়ারী : রেল দপ্তরে স্ত্রীর চাকরি নিশ্চিত করতে ঘুষ দিয়েছিলেন স্বামী । এজন্য তাকে জমি পর্যন্ত বন্ধক রাখতে হয়েছিল । কিন্তু চাকরি পেতেই স্ত্রীর আসল স্বরূপ প্রকাশ্যে আসে । ‘বেকার’ স্বামী তার মোটেই পছন্দ ছিল না । একজন সরকারি চাকুরের সঙ্গে নতুন সংসার গড়ার আশায় ‘বেকার’ স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে স্ত্রী । রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা প্রতারিত মণীশ মীনা কিন্তু এটাকে নিজের দুর্ভাগ্য বলে স্বীকার করেননি । প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে তিনি রেলে নিয়োগ পরীক্ষার এক বড়সড় কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন । আর এতেই মণীশের স্ত্রী আশা এবং রেলের এক গার্ডেরও চাকরি চলে যায় ।
সম্প্রতি পুলিশের কাছে করা অভিযোগে মণীশ জানান, তিনি কোনো চাকরি না করলেও স্ত্রীকে একটা ভালো সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই জন্যই প্রায় আট মাস আগে রেলের পরীক্ষার সময়ে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীর সাহায্য নেন । তাঁর জন্য তিনি চাষের জমি বন্ধক রেখেছিলেন । মণীশের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে তার বিনিময়ে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন রাজেন্দ্র নামে এক রেলকর্মী।
তবে রেলে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন আশা। সম্প্রতি মণীশ ‘বেকার’, এমন কথা বলে তাকে ছেড়ে যান আশা । শেষ পর্যন্ত আর্থিকভাবে ‘প্রতারিত’ হয়েছেন, এমন অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মণীশ ।মণীশের রিপোর্টের ভিত্তিতে, পশ্চিম মধ্য রেলওয়ের (ডব্লিউসিআর) ভিজিল্যান্স বিভাগ একটি তদন্ত শুরু করে, যার ফলে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) গত শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করে। এফআইআরে দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল লক্ষ্মী মীনা এবং রেলওয়ে পুলিশ অফিসার আশা মীনা (মণীশের স্ত্রী) সহ অজ্ঞাত রেল কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুসারে, আশাই একমাত্র প্রার্থী নন যিনি ভুয়া প্রার্থী ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন, যা আরও বড় নিয়োগ কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত দেয়।।