অভাবের কারনে বিয়ের ১১ দিনের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছে স্ত্রী, দুগ্ধ স্নান করে প্রেম ও বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা করল যুবক

এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৪ নভেম্বর : তিন বছর ধরে এক তরুনীর সঙ্গে প্রেম করছিল যুবক । আদালতে গিয়ে প্রেমিকাকে রেজিস্ট্রি ম্যারেজও করেছিল । কিন্তু যুবক গরিব হওয়ায় সেই বিয়ে একমাসও স্থায়ী হয়নি । বিয়ের ১১ দিনের মাথায় যুবককে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে তার স্ত্রী । বাংলাদেশের জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘটনা । প্রেমিকার এহেন আচরণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি ইশান মাহমুদ শ্রাবণ (২১) নামে ওই যুবক । তবে সে অভিমানে আত্মহননের পথ বেছে নেয়নি । বরঞ্চ এক মন দুধ দিয়ে স্নান করে প্রেম ও বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা করেছে । আর তারপরেই এলাকাকে নমস্কার করে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় ।
বাংলাদেশের জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পড়াগলী এলাকায় বাড়ি ইশান মাহমুদ শ্রাবণের । শুক্রবার সে প্রেম ও বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা করে দুগ্ধস্নানের পর বাড়ি ছাড়ে । রবিবার রাতে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ।
জানা যায়,ঈশান মাহমুদের শ্রাবণ পড়াগলী এলাকায় নানাবাড়িতে ছোট থেকে বড় হয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পরে তিনি নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসেন কলেজে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর জামালপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় তাদের নিজের বাড়িতে চলে যান। সেই সময় বাড়ির পাশে এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক চলে টানা তিন বছর। পরে গত ২৯ অক্টোবর আদালতের গিয়ে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মেয়ের পরিবার শ্রাবণের বাড়িতে আসে। কিন্তু তারা যুবকের পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় বিয়ের বিষয়টি মেনে নেয়নি তরুণীর পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে খবর,বিয়ের ১১ দিন পরে গত ৮ নভেম্বর শ্রাবণকে ডিভোর্স দেয় তার স্ত্রী। প্রেমিকার এহেন মানসিকতায় শ্রাবণ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন । যুবক ফের নানাবাড়ি পড়াগলী এলাকায় চলে আসে । নানাবাড়িতে এসে তার বন্ধুদের নিয়ে গত শুক্রবার স্থানীয় একটি স্কুলের মাঠে এক মণ দুধ দিয়ে স্নান করে প্রেমে না জড়ানো এবং বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা করে ।
ইশান মাহমুদ বলেন, ‘বিয়ের মাত্র ১১ দিন পর আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এই স্মৃতি নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। নিজের ভুল শুধরে নিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনে আর প্রেম এবং বিয়ে করব না ।’ সে আরও বলে যে আমি প্রাক্তন স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই ।।