এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া,২৩ নভেম্বর ঃ স্ত্রীকে চ্যাট করা দেখে রাগের মাথায় স্মার্টফোনটি ভেঙে দিয়েছিলেন স্বামী । আর সেই কারনে অভিমানে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী । মৃতার নাম সন্দীপা বহরান(১৮) ৷ রবিবার সন্ধ্যায় কাটোয়া শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কাটোয়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাপের বাড়ি সন্দীপা বহরানের ৷ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি । পেশায় কাঠমিস্ত্রি বাপ্পা প্রধানের(২২) সঙ্গে সন্দীপার ফেসবুকে আলাপ থেকে প্রেম । মাস চারেক আগে তাঁরা দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। বাপ্পা কর্মসুত্রে বাইরে থাকেন । প্রতি সপ্তাহে শনিবার বাড়ি ফেরেন । সোমবার ফের কর্মস্থলে চলে যান । তবে কার্তিকপুজোর সময় বাড়ি আসার পর কর্মস্থলে যায়নি বাপ্পা ।
মৃতার শ্বশুর বাবলু প্রধান জানিয়েছেন,বউমা মোবাইলে চ্যাট করত । এতে তার ছেলে আপত্তি করত। রবিবার দুপুরে ছেলে বউমার মধ্যে এনিয়ে ঝামেলা হয়। তখন তাঁর ছেলে রাগের মাথায় বউমার স্মার্টফোনটি আছার মেরে ভেঙে দেয় । সেই অভিমানেই বউমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ।
জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে ওই বধুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় । পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে আনে । মৃতার বাবা সন্দীপ বহরাণের অভিযোগ তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এনিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে ।।