এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৭ মে : এক সময়ে যার ভয়ে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত । ভয়ে সর্বত তটস্থ থাকতো বীরভূমের প্রশাসনিক মহল । যাকে সমীহ করে চলতেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই অনুব্রত মণ্ডল আজ মেয়ে সুকন্যাকে জেলবন্দি থেকে অস্থির হয়ে উঠেছেন । শনিবার মেয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হতে বিধ্বস্ত অনুব্রত মণ্ডল শুধু একটা প্রশ্নই করেন,’কেন তুই দিল্লি এলি ? তোকে তো দিল্লি আসতে বারণ করেছিলাম । কার পরামর্শে এলি ?’ প্রসঙ্গত,গরু পাচার মামলায় বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল । গত বছর অগাস্ট মাসে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) । মাস খানেক হল তদন্তের স্বার্থে তাকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
এদিকে একই মামলায় অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকেও তলব করেছিল ইডি । সপ্তাহখানেক আগে তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন । একজন স্কুল শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠলেন সুকন্যা, এটা জানতেই তাকে জেরা করে গরু পাচার মামলায় তদন্তকারী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা । কিন্তু এই প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়ে ইডি তাকে দু’দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার পর তিহাড় জেলে পাঠায় । ইডি এখন বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর ।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা । তিনি চাননি মেয়ে দিল্লি আসুক । অনুব্রত মনে করেছিলেন দিল্লি না এলে হয়তো তার মেয়ে গ্রেফতারই হত না । তাই জেলের মধ্যে মেয়েকে দেখে তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি । মেয়েয়ের উদ্দেশ্যে জেলবন্দি বাবার একটাই প্রশ্ন ছিল, ‘তোকে আমি বারবার বারন করা সত্ত্বেও তুই দিল্লি কেন এলি ?’ এর আগে প্রথমবারের মত মেয়ের গ্রেফতারির খবর শুনে ইডির আধিকারিকদের সামনে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল।।