এইদিন ওয়েবডেস্ক,০৫ মার্চ : খাদ্য তালিকায় রয়েছে পোকামাকড় এবং ইঁদুরের মতো ছোট মেরুদণ্ডী প্রাণী । এমনকি ছোটোখাটো বানরকে পর্যন্ত গিলে খায় এরা । তবে এটি কোনো প্রাণী নয়,এটি একটি ভয়ঙ্কর মাংসাশী উদ্ভিদ । গ্রীষ্মমন্ডলীয় কলস (pitcher ingests) হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী খাওয়া উদ্ভিদের মধ্যে একটি । উদ্ভিদটির ডাকনাম বানর কার্ব (monkey curb)। বিজ্ঞানসম্মত নাম নেপেনথেস (Nepenthes) । সাধারণত কলস উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য মাত্র ২ ইঞ্চি (৫ সে.মি.) থেকে আরম্ভ করে ২ ফুট (৬০ সে.মি.) পর্যন্ত হয়ে থাকে । পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার, শ্রীলংকা এমনকি ভারতের মত উষ্ণমন্ডলীয় জলাভুমিতে ।
গঠন আকৃতিভেদে এদের নাম কলস উদ্ভিদ দেওয়া হয়েছে। দেখতে একদম কলসের মত বলে এই উদ্ভিদের নাম কলস উদ্ভিদ । প্রাণীদের আকৃষ্ট করার জন্য এরা কলসের গায়ে দুটি জিনিস তৈরি করে- এক,সুমিষ্ট মধু ও দুই, মোম জাতীয় পদার্থ । মুলত কলসের মধুর টানেই প্রাণীরা আকৃষ্ট হয় । এছাড়া কলসে জমা বৃষ্টির জল পান করতে আসে বানরের দল । বড় বানরদের পক্ষে এটি ঠিক আছে, তবে ছোট বানরগুলি কখনও কখনও কলসের ভিতরে আটকে যায় । কলসের ভিতরে পড়ে যাওয়ার পর পিচ্ছিল মোমের কারনে তারা আর বাইরে বের হতে পারে না ।
এই গাছটি ভীতিকর এবং একই সাথে খুব সন্দেহজনক । গাছটি এমন জায়গায় জন্মায় যেখানে মাটির পুষ্টিগুণ খুব খারাপ থাকে৷ সেই কারনে গাছটিকে অন্যান্য উৎস থেকে পুষ্টি পেতে হয়, যেমন প্রাণী এবং পোকামাকড় ইত্যাদি ৷ এটির নামটি এসেছে এর সাপের মতো চেহারার কারনে এবং সত্য যে এটি একটি কোবরার মতো বিপজ্জনক ৷ গাছের পাতাগুলিও আংশিকভাবে স্বচ্ছ ৷ এর মানে হল যে কোনও কীটপতঙ্গ বা প্রাণী যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটির ভিতরে আটকে গেলে খুব বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে তারা ৷ কোবরা লিলিগুলি খুব বিরল এবং যারা তাদের দেখেছে তারা বলে যে তারা একটি ভিনগ্রহের কিছুর মতো দেখতে ৷ অন্যান্য উদ্ভিদের মতো কোবরা লিলি মাটি থেকে জল শোষণ করে । এই উদ্ভিদের অনন্য বিষয় হল এটি জলের স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর মানে, তারা চাইলে তারা কলসে আটকে যাওয়া প্রাণীকে ডুবিয়ে দিতে পারে ।
পৃথিবীতে প্রায় ৮০ প্রজাতির কলস উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে একটি দক্ষিণ আমেরিকান কলস উদ্ভিদ। রয়েছে নর্থ আমেরিকার পিচার প্লান্ট । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির কলসি উদ্ভিদের পাতাগুলোর আকার, রঙ ও আকৃতিভেদে ভিন্নতর হয়ে থাকে ।।