ইসলামি সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর হল পাকিস্তান… এটা আজ গোটা বিশ্ব স্বীকার করেছে । আর পাকিস্তানকে আদর্শ মনে করে চলে ভারত ও বাংলাদেশের জিহাদিরা । ভারতে কংগ্রেস, বামপন্থী প্রভৃতি দল এবং অখিলেশ যাদব আর মমতা ব্যানার্জির মত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ নেতানেত্রীদের তোষামোদি নীতির কারনে সেই মানসিকতা(জিহাদি) আজ কার্যত বারুদের স্তুপে পরিনত হয়েছে । তাদের ভোটব্যাংকের রাজনীতি দেশের নিরাপত্তার জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার ঝলক দেখা গেছে কাশ্মীরের পহেলগাম ও পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গিপুরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক হিন্দু নরসংহারের ঘটনায় । তবে এটা জমে থাকা ‘বারুদের স্তুপে’র স্ফুলিঙ্গ মাত্র । তাই ভারতকে সুরক্ষিত রাখতে পাকিস্তানকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা জরুরি হয়ে পড়েছে । জিহাদিদের মনোবলে আঘাত না দিলে ভারতে চলতে থাকা উগ্রপন্থার অবসান সম্ভব নয় । আর সেই প্রক্রিয়াও চলছে ।
গতকালই নিজের বাসভবনে জল,স্থল ও বায়ূসেনার কর্তা,প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । দীর্ঘ বৈঠকের পর সেনাবাহিনীকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দিয়ে দেওয়া হয় । পাকিস্তানের উপর কবে, কখন ও কোথায় হামলা চালানো হবে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । আজও ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী । বিষয়বস্তু স্পষ্ট… সন্ত্রাসের আঁতুরঘর পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া । কিন্তু এতকিছুর পরেও মোদী নিরব । আর যখনই মোদী নীরব থাকেন, তখনই একটি বড় ঘটনা ঘটে যায় – জিহাদিদের এটি বোঝা উচিত।
১) গোধরা ঘটনার পর মোদীর ২৪ ঘন্টার নীরবতা দাঙ্গাপ্রবণ এবং মুসলিম মাফিয়া- অধ্যুষিত গুজরাটের একটি এলাকাকে এমন শিক্ষা দিয়েছিলেন যে তার ফলস্বরূপ, গুজরাট আজ সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য । উল্লেখ্য, গুজরাটের কচ্ছ এবং স্যার ক্রিক এলাকা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী। তা সত্ত্বেও, গুজরাটের ওই এলাকায় আজ সম্পূর্ণ শান্তি বিরাজ করছে এবং রাজ্যটি অগ্রগতির পথে প্রতিদিন একটি নতুন মাত্রা স্থাপন করছে।
২) ইশরাত জাহান, সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার: এই এনকাউন্টারে মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল। রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয়, গণমাধ্যম এবং মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড সহ তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের একটি দল যৌথভাবে নরেন্দ্র মোদী এবং শাহকে চারদিক থেকে আক্রমণ করছিল। শাহকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মোদী এনকাউন্টারের দিন থেকে নীরবতা পালন করেছিলেন । সংস্থাগুলি একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে চৌদ্দ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, কিন্তু মোদী বাইরে নীরবতা বজায় রাখতে পছন্দ করেছিলেন। যখন মোদী বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হন এবং আবার মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন তার নীরবতা এতে বড় ভূমিকা পালন করে।
৩) উরি আক্রমণ: উরি আক্রমণের পর জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার পর, মোদী আবারও নীরব থাকতে পছন্দ করেন। ফলস্বরূপ, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে ভারত কী করেছে তা বিশ্ব দেখেছে।
৪) পুলওয়ামা হামলা: এই হামলার পর, মোদী টিভিতে এসে দেশকে আশ্বস্ত করেন এবং তারপর চুপ করে যান । ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান যোদ্ধারা সাহসিকতার শীর্ষবিন্দু প্রদর্শন করে দেশের জন্য তাদের বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন। যদিও আমাদের একজন সাহসী বিমান যোদ্ধা অভিনন্দন শত্রুর হাতে ধরা পড়েছিলেন, মোদীর নীরবতার কারণেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের সাহসী যোদ্ধা আমাদের সাথে ফিরে এসেছিলেন।
৫)গালওয়ানের ঘটনা: গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর মোদী নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। বিনিময়ে, বিশ্বে চীনের মতো পরাশক্তির জাদু ভেঙে গেল। বিশ্ব বিশ্বাস করেছিল যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেবল ভারতই চীনের দাঙ্গা দমন করতে পারে। জি-৭ দেশগুলিতে মোদীর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে বিশ্বের পরাশক্তিগুলি মোদীর দেখানো পথকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে এবং এটি নিয়ে চিন্তা করে।
এটি কেবল একটি উদাহরণ যে যখনই মোদী নীরব থাকেন, তখনই বড় এবং অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে।আজ, মোদী ১০০ কোটি ভারতীয়ের নেতা, যারা তাঁর প্রতি আস্থা রাখে এবং নিজেদেরকে তাঁর ভক্ত বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে। বিশ্বাস করুন, যেদিন মোদি ট্রাম্পের মতো টুইট করবেন, সেদিন মোদিভক্তরা দেশে মোদি বিরোধী এবং বিশ্বাসঘাতকদের কী করবেন, তা কল্পনা করা যেতে পারে। মোদী শাহের বিজেপি একটু আলাদা, যারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা দূর করতে জানেন ।।