এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসক ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ ও নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের এখনো সুরাহা হয়নি । একদিকে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চলছে, অন্যদিকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আজ শুক্রবার টানা অষ্টম দিনের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জেরা করছে সিবিআই । এদিকে এক শ্রেণীর মিডিয়া রীতিমতো প্রচার শুরু করে দিয়েছে যে সিবিআই নাকি ওই তরুনী চিকিৎসককে গনধর্ষণের কোনো প্রমানই পায়নি । আরজি কর নৃশংসতায় সাধারণ মানুষের প্রথম সন্দেহ সন্দীপ ঘোষের উপরেই । রাজ্য সরকার তাকে বাঁচানোর ‘মরিয়া’ চেষ্টা শুরু করলে সেই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় । তার উপরে সিবিআই সন্দীপকে এখনো গ্রেফতার না করার কারনে তারা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, এই বর্বরোচিত ঘটনার আদপেই সুবিচার হবে তো ? রাজ্য বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল প্রশ্ন তুলেছেন,মমতা ব্যানার্জি কি এত মরিয়া হয়ে লুকানোর চেষ্টা করছেন ?
তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে লিখেছেন,’আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী এত মরিয়া হয়ে লুকানোর চেষ্টা করছেন? কপিল সিব্বালের(যিনি বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ) নেতৃত্বে ২১ জন আইনজীবী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই ধর্ষকদের আড়াল করার জন্য এনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে। একদিকে আমাদের কলকাতার একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে, যার মেয়ে সমাজের সেবা করার জন্য ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। অন্যদিকে, আমাদের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত জোট রয়েছে যা ন্যায়বিচারকে ধ্বংস করতে এবং সত্যকে আড়াল করতে বদ্ধপরিকর। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চুপ করে থাকবে না।ন্যায়বিচারের জন্য তারা লড়াই করবেই।’ সেই সাথে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই সত্যকে আড়াল করুক না কেন আসল সত্য সামনে আসবে এবং দোষীদের সাজা হবেই।’ তিনি “জাস্টিস ফর আরজি কর” এবং “রিজাইন মমতা” হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন ।
আজ ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ । তাকে ম্যারাথন জেরা চলছে বলে সূত্রের খবর । কিন্তু এবার সিবিআইয়ের ধীর গতির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা । সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধের পরও প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা এখনও কর্মবিরতিতে অনড় । এদিকে আজ এই মামলায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রাইকে আজ শিয়ালদা আদালতে পেশ করবে সিবিআই । তাকে পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি মিলেছে। তবে সেই পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, চারজন রেসিডেন্ট চিকিৎসক এবং আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ারেরও পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আদালত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে ।।