এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ নভেম্বর : পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের একটা ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে । সেখানে বিধায়ককে এক তরুনীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথোপকথন করতে দেখা গেছে । মহিলার উদ্দেশ্যে বিধায়ককে বলতে শোনা গেছে, ‘দারুন করেছো… আরে বাঃ ।’ এরপর তিনি মহিলাকে ফ্লায়িং কিস দেন । কিস দেওয়ার পর ফের বিধায়ক বলতে শুরু করেন, ‘কেয়া বাত হ্যায় । কোথায় যাচ্ছ ? কোথায়…. বাব্বা ! যাও ।’ এরপর তিনি ‘দারুণ’ বলে ডান হাতের ইশারায় ‘ফ্যান্টাস্টিক’ মুদ্রা দেখান তরুনীকে ।
ভিডিওটি আজ বৃহস্পতিবার শেয়ার করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তিনিই জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি হলেন চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ । একজন অল্প বয়সী মেয়ের সঙ্গে বৃদ্ধ বিধায়কের এহেন আচরণে তিনি রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি শুধু লজ্জাজনকই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য প্রচণ্ড ভয়ের কারণও বটে! মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুঃশাসনের অধীনে, রাজ্য জুড়ে মহিলারা বারবার অপরাধীদের ভয়ঙ্কর আকাঙ্ক্ষার শিকার হচ্ছেন, কোনো ন্যায়বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় নারীর প্রতি এই ধরনের নৃশংস সহিংসতা পরিচালিত হয় ।’ এরপর তিনি লিখেছেন, ‘এই ভাইরাল ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তিনি হলেন রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতাসীন দলের চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ। উত্তর চব্বিশ পরগনার এই নেতার প্রভাবে আরজির এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ দ্রুত প্রমাণ ধ্বংস করার জন্য কর হাসপাতালে অন্যায়ভাবে দাহ করা হয়েছিল। এমন প্রশ্নবিদ্ধ চরিত্রের নেতাদের দিয়ে রাজ্য চালাচ্ছেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অসম্মানজনক !’
সুকান্ত মজুমদারের শেয়ার করাই ভিডিওতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন । উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের বর্তমান বয়স ৭৫ বছর । তিনি যে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলছিলেন তার সঠিক বয়স জানা না গেলেও বিধায়কের বয়সের এক চতুর্থাংশ হওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে । একজন নাতনির বয়সী মেয়ের সঙ্গে বিধায়কের এহেন আচরণে ধিক্কার জানিয়েছেন নেটিজেনরা । সাবির নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’ছিঃ বুড়োভাম ! বিজেমূলে দুশ্চরিত্রলোকে সমাজটাকে শেষ করছে ?’ সঞ্জয় পাল লিখেছেন,’সবার আগে তো এই মেয়েগুলি কে পরিচয় করানো টা দরকার এরা ঠিক কত নীচ। ছেলেরা শুধু খারাপ হয় মাত্র! ছা সালা ঠাকুর দার বয়েসি লোকের সঙ্গে নোংরামো। নো হোপস ।’ অয়ন্তিকা চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ’ ।।