প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ ডিসেম্বর : পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির কোন ফারাক নেই। বিজেপি ত্রিপুরায় যা করছে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে তাই করছে। শুক্রবার বর্ধমানে প্রয়াত সিপিএম নেতা নিরুপম সেনের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
তিনি বলেন, এখানে পার্টি ১০-১২ বছর ধরে লড়াই করছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর সঙ্গে আলোচনা করবে। তিনি বুথ ভিত্তিক কমিটি তৈরির উপর কর্মীদের জোর দিতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, দিল্লির অশোকা হলে ইণ্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠকে একজন সরাসরি প্রস্তাব করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেই জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ করা হোক। সেই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ সমর্থন করেন আরও একজন। কারণ তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মুখ। যদিও খাড়গে নিজেই আপত্তি জানিয়ে বলেন, এখন এটা আদৌ বিবেচ্য নয়। জোটের ‘পাখির চোখ’ হওয়া উচিত লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে জয়লাভ করা। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্ন তার পর জোট নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঠিক করবে। মানিক সরকার বলেন,২৮ টি দলকে এক জায়গায় নিয়ে আসা যেমন লড়াই, তেমনি ২৮ টি দলকে এক জায়গায় রাখাটাও লড়াই।যারা থাকতে চাইছেন না, তাদের জোর করে রাখা যাবে না।
শুক্রবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই স্মরণ সভায় মানিক সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, জেলা সম্পাদক সৈয়দ মহম্মদ হোসেন সহ একাধিক জেলা সিপিএমের নেতৃত্ব।এই নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সিপিএমকে রাজ্যের মানুষ রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেছে।লোকসভা কি বিধানসভা সিপিএমের কোন প্রতিনিধি নাই। তাই তাদের বিষয়ে বেশি কিছু না বলাই শ্রেয়।।