এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৮ আগস্ট : বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোয় উল্লসিত দুই কট্টর ইসলামী সংগঠন জামাতে ইসলামী এবং বিএনপি । কিন্তু বাংলাদেশের বৃহৎ সংখ্যকে মানুষ শেখ হাসিনার দেশত্যাগকে মেনে নিতে পারছেন না এখনো । তাদের আশা ফের দেশে ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের এই বর্ষিয়ান নেত্রীর এক ভক্তের মর্মস্পর্শী ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । শাহিদুল ইসলাম শহীদ নামে ওই শেখ হাসিনা ভক্ত নিজের কান্না চেপে রাখতে পারেননি । কাঁদতে কাঁদতে তিনি শেখ হাসিনার বাসভবন ‘গনভবন’-এর লুণ্ঠনকারীদের তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলেছেন,’কি খুশি হয়েছেন ? আপদ বিদায় হয়েছে না? এখন ভালো লাগছে ? আপদ বিদায়ের সাথে সাথেই সারাদেশে অগ্নিসংযোগ শুরু হয়েছে, লুট শুরু হয়েছে, মারামারি শুরু হয়েছে ।’ তিনি বলেন,’এই আপদ যাওয়ার সময় কি করেছে জানেন ? তাদের দুই বোনের যত সম্পদ ছিল কল্যাণ ট্রাস্ট অনাথ আশ্রমে দান করে গেছেন । উনি যাওয়ার আগে কি বলেছেন জানেন ? উনি ওনার গণভবনের দরজা খোলা রাখতে বলেছিলেন ।
বলেছিলেন প্রত্যেকটা লকার যেন খোলা থাকে । কোন কিছু যেন লক না থাকে । এই কারণে গণভবনে কেউ আপনাদের বাধা দেয়নি । উনি নিজের হাতে শাকসবজি চাষ করতেন । হাঁস আর মুরগি যেগুলো আপনারা নিয়ে এসেছেন সেগুলো ওনার নিজের হাতে প্রতিপালন করা ।’
তিনি বলেন,’উনি বলে গেছেন, জনগণের জন্যই আমার থাকা । ওরা যখন চাইছে না তখন আমি চলে যাচ্ছি । কিন্তু ওরা প্রত্যেকটা লোক এখনো আসবে, এখানে দেখবে, যদি কিছু নেয়, নিয়ে যাবে । আমার লাগানো জিনিস আমি নিতে পারলাম না বা খেতে পারলাম না, কিন্তু ওরা নিক, ওরা তো আমারই । এইজন্য আপনাদের কেউ বাধা দেয়নি। আপনারা কেউ লুট করেছেন । লুট করেছেন আবার বন্য উল্লাস করেছেন ।’
এই কথাগুলো বলতে বলতে একাধিকবার কেঁদে ফেলেন শাহিদুল ইসলাম শহীদ । তিনি বলেন,’এই যে আজকে ফেসবুক নিয়ে অনেকে ব্যবসা করে। কেন করে জানেন ? ওনার জন্যই করে । ওনার জন্যই আপনারা ফেসবুকে ব্যবসা করতে পারছেন । এখন আপদ বিদায় হয়েছে, এবার দেখুন ওনার মত অন্য কেউ সুবিধে দিতে পারে কিনা ।’
সব শেষে তিনি বলেন,’আমি ভাই কোন দল করি না । আমি আমার পেটের দল করি । কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে আমি ওনার কাছ থেকে যে নাগরিক সুবিধা পেয়েছি সেজন্যই আমি আপনাদের এই কথাগুলো বলছি । অনেকের আমার কথা খারাপ লাগতে পারে । সেটা আপনাদের ব্যাপার । কিন্তু যেটা বাস্তব সেটা আপনাদেরকে বললাম । আর উনি যাদের কাছে শত্রু, তাদের জন্য একটু দোয়া করেন । কারণ শত্রুর জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হয়। যাতে করে ওনাকে আল্লাহতালা নিয়ে যায় ।’।