এইদিন,ওয়েবডেক্স,কলকাতা,২৩ ফেব্রুয়ারী : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি ব্লকের উপদ্রুত এলাকায় উত্তেজনার পারদ কিছুতেই নামছে না । আজ শুক্রবার নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সন্দেশখালি ব্লকের বেড়মজুর এলাকায় । তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ক্ষিপ্ত মহিলারা আজ ঝাটা ও লাঠি হাতে বের হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । বেড়মজুর- ১ এলাকায় একটি আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে তৃণমূলের লোকজনই আগুন লাগিয়ে পরিস্থিতিকে আরো বেশি উত্তপ্ত করে দিচ্ছে । আর এই ঘটনার নেপথ্যে পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই সিরাজ শেখ ও তার দুষ্কৃতী বাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন গ্রামবাসীরা ।
এদিকে আজ সকালে বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি সহ বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রীরা সন্দেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হলে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ভোজেরহাটে তাদের আটকে যায় পুলিশ । এই ঘটনায় মমতা ব্যানার্জির সরকার অ রাজ্য পুলিশকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । পুলিশের দ্বারা লকেট চ্যাটার্জি কাটকে যাওয়ার ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলের শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’এমপি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক; শ্রীমতী লকেট চ্যাটার্জী মহিলা মোর্চা সদস্যদের সাথে সন্দেশখালি যাওয়ার সময় মমতা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে । ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অজুহাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আশ্চর্যজনকভাবে তাকে সন্দেশখালী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ভোজেরহাটে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি।’ তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে লিখেছেন,’যেভাবে একজন বিশিষ্ট মহিলা আইন প্রণেতা এবং দুই বারের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদককে মমতা পুলিশ মারধর করেছে, তা অবশ্যই প্রশ্ন তুলেছে যে সন্দেশখালি এবং রাজ্যের অন্যান্য গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের সাথে পুলিশ কীভাবে আচরণ করে। আমি পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের এই উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা জানাই, যারা মহিলাদের উপর তাদের শক্তি প্রয়োগ করে কিন্তু আইন- শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অক্ষম এবং শাহজাহান শেখের মতো অপরাধীদের খুঁজে পায় না।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করে লকেট চ্যাটার্জি বলেছেন, ‘একজন মহিলা হয়ে সন্দেশখালির অত্যাচারিত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতার দলদাস পুলিশ বেআইনি ভাবে আমাদেরকে বাধা দিলো! সন্দেশখালীকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চাইছে মমতার পুলিশ! কেন? মানুষের আওয়াজকে এভাবে বন্ধ করতে মরিয়া কেন তৃণমূল?’ তিনি আর বলেন, ‘শাহজাহান বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু স্বামীর, ভয়ে বাড়ি ছাড়া স্ত্রী।বাংলায় নারীদের নেই বিন্দুমাত্র সুরক্ষা, প্রতিমুহূর্তে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে মমতা ব্যানার্জী ।’।