এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া,২৮ ফেব্রুয়ারী : ‘তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথায় কাপড় বেঁধে ছদ্মবেশ ধরেছিলেন । কিন্তু উনি মুসলমানের ছদ্মবেশ ধরেও মুসলমানদের ধরে রাখতে পারলেন না । আজ মুসলমানরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাল শত্রু । তার জন্য আব্বাস সিদ্দিকী কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে জোট করলেন । এতে আমাদের মঙ্গল হল । পরে ইলেকশনে বোঝা যাবে ।’ রবিবার কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে বুথ কর্মীদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে এই কথায় বললেন সদ্য বিজেপিতে আগত তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল।
এরপর সুনীল মণ্ডল বলেন, ‘সিপিএম থেকে তৃণমূলে কিছু ভালো লোক যেমন এসেছে তেমনি কিছু খারাপ লোকও এসেছে । কিন্তু খারাপ লোকের সংখ্যাটাই বেশি । সিপিএমের দস্যু দানবরা জানে কোথায় বালি,মাটি চুরি করলে বা ঘাপলা করলে পয়সা হবে । তারা তৃণমূলে আসার পর তৃণমূলের লোকেদের তা বুঝিয়ে দিয়ে গেছে ।’ এরপর তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায় কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না ।’
এদিন পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি অগ্রদ্বীপের বাসিন্দা কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে বুথ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয় । সাংসদ সুনীল মণ্ডল,কৃষ্ণ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সহ সভাপতি অনিল দত্ত,রানাপ্রতাপ গোস্বামী, বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলার জাতীয় পরিষদের সদস্য তথা জেএনইউর অধ্যাপক গোবর্ধন দাস প্রমুখ । অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েত এলাকার প্রচুর সংখ্যক মহিলা বিজেপি কর্মী এদিনের সম্মেলনে যোগ দেন ।
এদিন কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলে কোনও ভালো লোক বা নেতা থাকতেই পারবে না । যারা আছেন নিজেদের স্বার্থ গোছাবার জন্য আছেন । সেই কারনে মুকুলদা,শুভেন্দুদা,রাজীবদার মত বড়বড় নেতারা বিজেপিতে চলে এসেছেন ।’ এদিন কৃষ্ণ ঘোষ দাবি করেন দু’শোর অধিক আসন পেয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি । এরপর তিনি প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মগুলিকে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন ।।