এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৮ জুন : কয়েকদিন ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে একদিকে যেমন দামোদর,অজয় নদসহ বিভিন্ন নদীগুলির জলস্তর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে । তেমনি জলস্তর বেড়েছে জলাধারগুলিতেও । ফলে দূর্গাপুর ব্যারেজ, মাইথন,প্যাঞ্চেৎ, তেনুঘাট প্রভৃতি ড্যামগুলি থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে । এদিকে বাঁকুড়া জেলা ইন্দাস ব্লকের শালী নদীর জলের চাপ প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় ভগবতীপুরে একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে গেছে । ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক গ্রাম ।
প্রশাসন সুত্রে খবর,শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ মোট চার দফায় জল ছাড়া হয় । প্রথম দফায় সকাল ছটায় জল ছাড়া হয়েছিল ২৭৮০০ কিউসেক । সকাল সাতটা নাগাদ দ্বিতীয় দফায় জল ছাড়া হয় ২৯৯০০ কিউসেক । এগারোটা নাগাদ তৃতীয় দফায় ৩৫৯৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয় । দুপুর একটায় চতুর্থ জল ছাড়া হয় ২৯৯০০ কিউসেক । দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে এযাবৎ সর্বমোট জল ছাড়া হয়েছে এক লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৫০ কিউসেক । ফলে দামোদর ও অজয় নদের জলস্তর বেড়ে গেছে ৷ পাশাপাশি জানা যাচ্ছে মাইথন, প্যাঞ্চেৎ, তেনুঘাট জলাধারগুলি থেকে ইতিমধ্যে দু’দফা করে জল ছাড়া হয়েছে । এরপর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে দুর্গাপুর ব্যারেজ আরও জল ছাড়া হতে পারে এমনটাই প্রশাসন সুত্রে জানা যাচ্ছে ।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের জেরে বাঁকুড়ার শালী নদীর জলের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে । এই দেখে ভগবতীপুর গ্রামের কাছে শালী নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটিকে আরও মজবুত করে তোলার চেষ্টা করছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা । সেই সময় জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি । যদিও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি । তবে সেতু ভেঙে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভগবতীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা । কারন গ্রামগুলির সঙ্গে নিকটতম শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ওই সেতুটি । এখন সেতুটি ভেঙে পড়ায় বাজারহাট যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রামগুলি ।
এদিকে শুক্রবার ঝাড়খন্ডের শিকাটিয়া ব্যারেজ থেকে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । ফলে অজয় নদের জলস্তর বিপজ্জনক সীমা ছুঁতে পারে আশঙ্কা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন । তার জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ব্লকের রামনগর পঞ্চায়েত এলাকার পল্লীশ্রী ও গোপালপুর প্রভৃতি অজয় নদ তীরবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের আগাম সতর্ক করতে এদিন বিকেলে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে প্রচার করা হয় ।।