এইদিন ওয়েবডেস্ক,নাগপুর,০৬ মার্চ : এক যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১৫ বছরের এক কিশোরী । বিষয়টি সে গোপন করে গিয়েছিল পরিবারের কাছে । তারপর ইউটিউব দেখে বাড়িতে নিজেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় । এই কলঙ্ক গোপন করতে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে মেরে বাক্সের মধ্যে ভরে রেখে দেয় দেহটি । কিন্তু প্রসবের সময় রক্তক্ষরণের রক্ত ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় কিশোরী মায়ের নজরে পড়ে গেলে তখন মেয়েটি সব খুলে বলে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে । বর্তমানে ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে ।
এদিকে পুলিশ নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে যৌন শোষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, নবজাতকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মেয়েটির বিরুদ্ধে হত্যার ধারায় মামলা দায়ের করা হবে । পুলিশ সূত্রে খবর,নাগপুরের আমবাঝারি এলাকায় বাড়ি ওই কিশোরীর । সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল । ওই যুবক তাকে যৌন হেনস্থা করেছিল । যে কারণে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু মেয়েটি তার মায়ের কাছ থেকে সত্য গোপন করে বলেছিল যে তার পেটে সমস্যা হয়েছে ।
জানা গেছে,মেয়েটির মা একটি শপিং মলে কাজ করেন । অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মেয়েটি গোটা বিষয়টি মায়ের কাছে পুরোপুরি আড়াল করে যায় । এদিকে গোপনে ইউটিউবে প্রসবের পদ্ধতি রপ্ত করতে থাকে মেয়েটি । গত বৃহস্পতিবার কিশোরীর মা কাজে বেড়িয়ে গেলে ইউটিউব দেখে সে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে । পরে নবজাতককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি সুটকেসের মধ্যে রেখে দেয় । পরে রাতের দিকে কিশোরীর মা বাড়ি ফিরে বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ছোপ দেখে মেয়েকে এনিয়ে প্রশ্ন করে । প্রথমে মেয়েটি প্রসবের বিষয়টি গোপন করে যায় । কিন্তু মা চেপে ধরতেই সে সব খুলে বলে । পরে কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে নবজাতকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ ।।