ইতিহাসে পড়ানো হয় যে তাজমহলের নির্মাণ কাজ ১৬৩২ সালে শুরু হয়েছিল এবং এর নির্মাণ কাজ হয়েছিল ১৬৫৩ সালের দিকে শেষ । কিন্তু শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের মৃত্যু হয় ১৬৩১ সালের ১৭ জুন । তাহলে কিভাবে তাকে তাজমহলে সমাহিত করা হয়েছিল, যেখানে তাজমহলের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩১ সালে। এগুলি সবই ১৮ শতকে ব্রিটিশ ও মুসলিম ঐতিহাসিকদের মনগড়া গল্প বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল ৷ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের সংস্কারপন্থী ইতিহাসবিদ পুরুষোত্তম নাগেশ ওক বা পিএন ওকের একটি বই রয়েছে তাতে বলা হয়েছে তাজমহল ইজ এ টেম্পল প্যালেস ।
কিন্তু মন্দির ভেঙে তাজমহল নির্মানের দাবি কেন করে হিন্দুরা ? এর সপক্ষে তাদের যুক্ত হল, আসলে, হিন্দু মন্দিরকে ইসলামি রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ সালে। এর প্রধান ফটকটি ১৬৪৯ সালে নির্মিত হয়েছিল যার উপর কোরানের আয়াত খোদাই করা হয়েছিল। এই প্রধান ফটকের উপরে, হিন্দু শৈলীর একটি ছোট গম্বুজ আকৃতির মণ্ডপ রয়েছে এবং দেখতে খুব সুন্দর। কাছাকাছি মিনার তৈরি করা হয়েছিল এবং তারপর সামনের ফোয়ারাটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। মুমতাজের মৃত্যুর সাত বছর পর, আগ্রার কথা তার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে ভয়েজস অ্যান্ড ট্রাভেলস ইনটু দ্য ইস্ট ইন্ডিজে উল্লেখ করা হয়েছিল, কিন্তু তাজমহল নির্মাণের কোনো উল্লেখ ছিল না। টোমহার্নিয়ার মতে, যদি ২০ হাজার শ্রমিক ২২ বছর ধরে তাজমহল তৈরি করতেন, তবে ম্যান্ডেলস্লোহ অবশ্যই সেই বিশাল নির্মাণ কাজের কথা উল্লেখ করতেন।
একটি আমেরিকান গবেষণাগারে তাজমহলের নদীর পাশের দরজা থেকে কাঠের একটি টুকরো কার্বন পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে কাঠের টুকরোটি শাহজাহানের আমলের,৩০০ বছর আগে, কারণ তাজমহলের দরজাগুলি এর প্রভাবে ছিল। এগারো শতকের পর থেকে মুসলমানদের অন্যান্য দরজাগুলিও আক্রমণকারীরা কয়েকবার ভেঙে দিয়েছে আবার বন্ধ করার জন্য। তাজমহল আরও পুরানো হতে পারে। মনে করা হয় যে আসলে তাজমহল নির্মিত হয়েছিল ১১১৫ সালে অর্থাৎ শাহজাহানের সময়ের প্রায় ৫০০ বছর আগে।
তাজমহলের গম্বুজের উপর দাঁড়িয়ে থাকা অষ্টধাতু কলশটি একটি ত্রিশূলের আকারে সম্পূর্ণ কুম্ভ। এর মাঝের খুঁটির উপরে একটি নারকেলের আকৃতি তৈরি করা হয়। দুটি বাঁকানো আমের পাতা নারকেলের নিচে এবং একটি কলশ নিচে দেখানো হয়েছে। সেই চাঁদের আকৃতির দুটি বিন্দু এবং মাঝখানে নারকেলের চূড়াকে যুক্ত করে একটি ত্রিশূলের আকৃতি তৈরি হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে একই ধরনের কলস তৈরি করা হয়। সমাধির উপরে গম্বুজের মাঝখানে অষ্টধাতুর একটি শিকল ঝুলছে। শিবলিঙ্গে জল ছিটাতে ব্যবহৃত সোনার পাত্রটি এই শিকলের উপর ঝুলত। যখন তা বের করে শাহজাহানের কোষাগারে জমা করা হয়, তখন শিকলটি ঝুলে থাকে। লর্ড কার্জন এর উপর একটি প্রদীপ ঝুলিয়েছিলেন, যা আজও আছে।
প্রশ্ন আরও ওঠে যে একটা কবরস্থানকে প্রাসাদ বলা হত কেন? সমাধিকে প্রাসাদ বলার কারন কি ? কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কারণ ইতিমধ্যেই নির্মিত একটি প্রাসাদ কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। কবরস্থানে রূপান্তরিত করার সময় এর নাম পরিবর্তন করা হয়নি। এখানেই ভুল করেছেন শাহজাহান। সেই সময়ের কোনো সরকারি বা রাজকীয় দলিল বা সংবাদপত্র ইত্যাদিতে ‘তাজমহল’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়নি। তাজমহলকে তাজ-ই-মহল মনে করা হাস্যকর।
‘মহল’ শব্দটি কোনো মুসলিম শব্দ নয়। আরব, ইরান, আফগানিস্তান ইত্যাদিতে এমন একটিও মসজিদ বা সমাধি নেই যেখানে একটি প্রাসাদ নির্মিত হয়েছিল।
এটাও ভুল যে মমতাজের কারণে এর নাম মমতাজ মহল হয়েছে, কারণ তার স্ত্রীর নাম ছিল মুমতা-উল-জামানি । যদি এটি মমতাজের নামে নামকরণ করা হত তবে তাজমহলের সামনে থেকে মমি সরানোর কোনও যুক্তি ছিল না।
ভিনসেন্ট স্মিথ তার ‘আকবর দ্য গ্রেট মুঘল’ বইতে লিখেছেন, বাবর ১৫৩০ সালে আগ্রার ভাটিকা প্রাসাদে তার এলোমেলো জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। বাগানের সাথে সেই প্রাসাদটি ছিল তাজমহল। এটি এত বিশাল এবং বিশাল ছিল যে ভারতে এর মতো আর কোনো প্রাসাদ ছিল না। বাবরের কন্যা গুলবদন তার ‘হুমায়ুনমা’ নামের ঐতিহাসিক বিবরণে তাজকে ‘মিস্টিক হাউস’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তাজমহলটি রাজা পরমর্দিদেবের রাজত্বকালে ১১৫৫ সালে আশ্বিন শুক্লা পঞ্চমী, রবিবারে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয় । তাই পরবর্তীতে মুহম্মদ ঘোরি সহ অনেক মুসলিম হানাদার তাজমহলের গেট ভেঙ্গে লুট করে। এই প্রাসাদটি আজকের তাজমহলের চেয়ে বহুগুণ বড় ছিল এবং এতে তিনটি গম্বুজ ছিল। হিন্দুরা এটি আবার মেরামত করে, কিন্তু তারা এই প্রাসাদটিকে বেশি দিন রক্ষা করতে পারেনি।
বিশ্বকর্মা বাস্তুশাস্ত্র নামে স্থাপত্যের উপর বিখ্যাত গ্রন্থে শিবলিঙ্গগুলির মধ্যে ‘তেজ-লিঙ্গ‘-এর বর্ণনা রয়েছে। ‘তেজ-লিঙ্গ’ তাজমহলে স্থাপিত হয়েছিল, তাই এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘তেজোমহালয়‘।শাহজাহানের সময় ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে আগত অনেক লোক ভবনটিকে ‘তাজ-ই-মহল‘ বলে উল্লেখ করেছিল, যা এর শিব মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃত নাম ‘তেজোমহালয়‘-এর সাথে মিলে যায়। এর বিপরীতে শাহজাহান ও আওরঙ্গজেব অত্যন্ত যত্ন সহকারে কোথাও সংস্কৃতের সাথে মিলে যাওয়া এই শব্দটি ব্যবহার না করে তার জায়গায় পবিত্র সমাধি শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ওকের মতে, হুমায়ুন, আকবর, মুমতাজ, আইতামত-উদ-দৌলা এবং সফদরজং-এর মতো সমস্ত রাজকীয় এবং রাজদরবারী ব্যক্তিত্বকে হিন্দু প্রাসাদ বা মন্দিরে সমাহিত করা হয়েছে।
তাজমহল একটি শিব মন্দির, এটা মেনে নিতে হবে যে মুমতাজের মৃতদেহ ইতিমধ্যেই তৈরি করা তাজমহলের ভিতরে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং কবরস্থ করার পরে তাজ তৈরি করা হয়নি। ‘তাজমহল’ হল ‘তেজোমহালয়’ শব্দের অপভ্রংশ যা শিব মন্দিরকে নির্দেশ করে। তেজোমহালয় মন্দিরে অগ্রেশ্বরমহাদেব পূজিত ছিলেন। দর্শণার্থীরা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে বেসমেন্টের ভিতরে সমাধি কক্ষে কেবল সাদা মার্বেল পাথর রয়েছে যেখানে অ্যাটিক এবং সমাধি কক্ষে ফুল, লতা ইত্যাদি দিয়ে আঁকা ছবি রয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে মমতাজের সমাধি সম্বলিত কক্ষটি শিব মন্দিরের গর্ভগৃহ। মার্বেল জালিটিতে ১০৮ টি কলস আঁকা রয়েছে,১০৮ নম্বরটি হিন্দু মন্দির ঐতিহ্যে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়।
তেজোমহালয় ওরফে তাজমহল নাগনাথেশ্বর নামে পরিচিত ছিল কারণ এর ওয়াটার টাওয়ারটি এর চারপাশে কুণ্ডলী করা সাপের মতো দেখতে ডিজাইন করা হয়েছিল। এই মন্দিরটি ছিল বিশাল প্রাসাদ এলাকায়। প্রাচীনকালে আগ্রাকে অঙ্গিরা বলা হত, কারণ এটি ঋষি অঙ্গিরার পবিত্র স্থান ছিল। অঙ্গিরা ঋষি ছিলেন শিবের উপাসক। অতি প্রাচীন কাল থেকে, আগ্রায় ৫ টি শিব মন্দির নির্মিত হয়েছিল। এখানকার বাসিন্দারা বহু শতাব্দী ধরে এই ৫ টি শিব মন্দিরে যেতেন এবং পূজা করতেন।
কিন্তু এখন কয়েক শতাব্দী ধরে বাল্কেশ্বর, পৃথ্বীনাথ, মানকামেশ্বর এবং রাজরাজেশ্বর নামে মাত্র ৪টি শিব মন্দির অবশিষ্ট রয়েছে। পঞ্চম শিব মন্দিরটি বহু শতাব্দী আগে সমাধিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। স্পষ্টতই, সেই পঞ্চম শিব মন্দিরটি আগ্রার প্রধান দেবতা নাগরাজ অগ্রেশ্বর মহাদেব নাগনাথেশ্বর, যিনি তেজোমহালয় মন্দির ওরফে তাজমহলে স্থাপিত ছিলেন।
২০২২ সালে তাজমহলের বন্ধ হয়ে থাকা ২২টি ঘর খুলে দেওয়ার জন্য সওয়াল ওঠে । মামলা করা হয়েছিল লখনউ বেঞ্চে ।যদিও দুই বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং সুভাষ বিদ্যার্থীর বেঞ্চ মামলা খারিজ করে দেন । মামলাকারীর নাম, রজনীশ সিং, তিনি অযোধ্যার বাসিন্দা। অযোধ্যা জেলা বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ । তার দাবি ছিল, তাজমহলের ২২টি প্রকোষ্ঠ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ। সেগুলি খুলে দেখা হোক কী আছে তার ভিতরে। দাবি, এটি আসলে ‘তেজো মহা আলয়’ নামে এক প্রাচীন শিবমন্দির। রজনীশের আবেদন ছিল, তাজমহলের ‘প্রকৃত ইতিহাস’ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেওয়া হোক আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআইকে। তারাই বন্ধ ঘর খুলে দেখুক সেখানে কী রয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হোক, কোনও হিন্দু মন্দিরের কাঠামোয় সম্রাট শাহজাহান এই স্থাপত্য নির্মাণ করেছিলেন কি না। তিনি ইতিহাসবিদ পুরুষোত্তম নাগেশ ওক বা পিএন ওকের একটি বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন ।
তিনি বলেছিলেন,’তাজমহল শিবমন্দির হতে পারে। ওকের বইটি নানা ভাষার মতো বাংলাতেও অনূদিত হয়েছে। তার কুড়ি নম্বর অধ্যায় লেখা,’… বটেশ্বর শিলালিপি নামে পরিচিত একটি শিলালিপি লখনউ মিউজিয়ামে আছে। এতে ইঙ্গিত দেওয়া আছে যে, তাজমহল ১১৫৫ সালে নির্মিত শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি হিন্দু মন্দির।’ তাজমহলের নানা কিছু তুলে তিনি শিবমন্দিরের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন। এই অধ্যায়েই এক জায়গায় ওক বলেছেন, ‘মর্মরের উঁচু মঞ্চের পিছনে, লাল পাথরের উঠানের নীচে নদীর দিকে মুখ করে আছে দীর্ঘ একসার সুপরিসর কারুকার্য খচিত প্রকোষ্ঠ।এর সঙ্গে আছে একটি লম্বা ঢাকা বারান্দা। যা ওই সারির পুরো দৈর্ঘ্য পর্যন্ত প্রসারিত। যেখানে মৃতদেহ রাখা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, সেই নীচের কেন্দ্রীয় প্রকোষ্ঠের নীচের তলের এই প্রকোষ্ঠগুলিতে কারুকার্য থাকত না যদি তাজমহল সত্যিই মুসলিম কবর হত।… আবার নদীর দিকে মুখ করা লাল পাথরের চত্বরের নীচের সারিবদ্ধ ঘরগুলির বায়ুরন্ধ্রের অনুরূপ দরজাকৃতির মুখও দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সব কুশ্রী বাধা যদি অপসারিত হয়, যমুনা নদীর ঠান্ডা বাতাস এবং সূর্যালোকে উদ্ভাসিত নানা রংয়ে চিত্রিত তাজমহলের এই নীচের তলার কক্ষগুলি দর্শকের আনন্দের কারণ হতে পারে, যেমনটি হত শাহজাহানের আমলের আগে।’ তাজমহল নামকরণ নিয়ে তিনি এর ঠিক পরেই এক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘তাজমহল কথাটিও ফার্সি থেকে অনেক দূর। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ ‘তেজ মহা আলয়’ অর্থাৎ উজ্জ্বলতম প্রাসাদ কথাটির অপভ্রংশ।… এই নামটা আরও দেওয়া হয়েছে এই জন্য যে, শিবের নেত্র থেকে তেজ বা জ্যোতি বিচ্ছুরিত হয় বলে ধারণা করা হয়।’
এই বইয়ের প্রথমাংশে তাজমহলকে হিন্দু প্রাসাদ হিসেবে প্রমাণ করার যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ওক, তার একটি জায়গায় তিনি বলেছেন, ‘এই মর্মর প্রাসাদের চারপাশে আছে এক বিরাট লালপাথ বিছানো চত্বর। এর নীচেই আছে এক প্রকাণ্ড ভবন, অনেক কক্ষ নিয়ে। জনসাধারণের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে অনুরোধ করা উচিত, যাতে এই নীচের তলার কক্ষগুলি উন্মুক্ত করে দেখানো হয়। এটা খুবই সম্ভব যে, মাটি আর বালিতে ভর্তি এই ঘরগুলিতে ধনরত্ন বা মূর্তি বা হিন্দু উৎসের কোনও প্রমাণ থাকতে পারে।’
পিএন ওকের এই যুক্তিকে অস্ত্র করে ২০১৫ সালে সাত জন আইনজীবী তাজমহল অঞ্চলের ভিতরে দর্শন এবং আরতির অনুমতি চেয়ে মামলা করেন আগ্রা সিভিল কোর্টে। প্রকোষ্ঠগুলি খুলে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। ২০১৭ সালে জাতীয় তথ্য কমিশনার এই স্থাপত্যটি মন্দির না স্মৃতিসৌধ, তা স্পষ্ট করতে বলে সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে মামলার আবেদন জানানো হলেও, তা খারিজ হয়ে যায়।
যদিও রাজস্থানের জয়পুর রাজপরিবারের রানি তথা সেই সময়ের বিজেপির লোকসভার সদস্য জয়পুরের শেষ মহারাজা মান সিংয়ের নাতনি দিয়া কুমারী দাবি করেছিলেন, যে জমিতে তাজমহল তা ছিল রাজপুত রাজপরিবারের। সে সংক্রান্ত কাগজপত্রও নাকি তাঁদের কাছে রয়েছে।
তবে তাজমহল নিয়ে আদালতের কোনো সিদ্ধান্তে আসায় সবচেয়ে বড় বাধা হল প্লেসেস অফ ওরশিপ অ্যাক্ট, ১৯৯১। অর্থাৎ উপাসনাস্থান আইন, ১৯৯১। যখন রামমন্দির আন্দোলনের হাওয়া অতিপ্রবল, তখন নরসিংহ রাওয়ের কংগ্রেস সরকার এই আইন আনে । সেই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা দিবস থেকে ভারতের যেখানে যে উপাসনাস্থান ছিল, তার কোনও ধর্মীয় পরিবর্তন করা যাবে না। তবে এই আইনের বাইরে রাখা হয় অযোধ্যার রামজন্মভূমি -বাবরি মসজিদকে। রামজন্মভূমি নিয়ে মামলা মিটে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে তৈরি হয়েছে রামমন্দির । কিন্তু কাশী বিশ্বনাথ,মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মত এমন প্রচুর মন্দির ভেঙে মুঘল হানাদারদাররা যে সমস্ত মসজিদ নির্মান করেছি তা হিন্দুপক্ষের ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের উপাসনাস্থান আইন । তাই এই আইন বাতিলের জন্য বারবার দাবি ওঠে ।।