জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৪ মার্চ : বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবার মাধ্যমে যুব সমাজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্যে ভারত সরকারের যুব ও ক্রীড়া দপ্তর ১৯৬৯ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় সেবা প্রকল্প’ অর্থাৎ এনএসএস গঠন করে। মূলত একাদশ শ্রেণি থেকে তদূর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই পরিকল্পনা করা হয় এবং এর মূল নীতি ছিল ‘নট মি, বাট ইউ’ ( Not me, but you) ।
সরকারের উদ্দেশ্যকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে এনএসএস । মফস্বল শহরে গড়ে ওঠা এই মহাবিদ্যালয়টি প্রায় শুরু থেকেই বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
গত ১৩ ই মার্চ ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মনেশ্বর সরকার গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিট-২ এর স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন বাগান পাড়ায়। তারপর সেখানকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠরত প্রায় ত্রিশ জন শিশুর হাতে আদর্শলিপি বই ও খাতা তুলে দেন। বই ও খাতা পেয়ে বাচ্চাগুলি খুব খুশি। প্রসঙ্গত করোনার সময় এই ইউনিটের পক্ষ থেকে দুস্থদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। আতঙ্কিত না হয়ে তাদের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় । সেবা কাজে উপস্থিত ছিল রণধীর শিকদার,শুভদীপ দাস, সেখ বাদশা, সৌভিক শিকদার, সায়ন্তনী ব্যানার্জ্জী সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা ।
সায়ন্তনী বলেন ‘লক ডাউনের পর সদ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু হয়েছে। এখনো অনেকেই বই, খাতা পায়নি। তাই আমরা কিছু জনের হাতে সেগুলি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সিদ্ধান্তের কথা আমাদের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজী হয়ে যান ।’
অন্যদিকে মনেশ্বরবাবু বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে এনএসএস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেটি পূরণ করার জন্য আমরা সচেষ্ট থাকি।’ তিনি আরও বলেন,’এই ইউনিটের সদস্যদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয় ।’।