জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৫ আগস্ট : দুঃস্থদের জন্য কিছু করার সুপ্ত ইচ্ছেটা বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ২০০৯ সালে ‘মাসুন্দী মহিমা চরণ মিশ্র মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল সোসাইটি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের গৃহবধূ অনামিকা চক্রবর্তী। পাশে পেয়েছেন একগুচ্ছ সমাজসেবী মানুষ ও স্বামীর নীরব সহযোগিতা। শুরু থেকেই নিজেদের সাধ্যানুযায়ী দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ান। সবার সহযোগিতায় কখনো তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন জামাকাপড় কখনো অন্য সামগ্রী। প্রতিবছর দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই খাতা সহ অন্যান্য পড়াশোনার সামগ্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না ।
সংস্থার পক্ষ থেকে স্বাধীনতার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ ই আগষ্ট এক অনুষ্ঠানে ‘প্রেরণা ভ্রাম্যমান পাঠাগার’ মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান ও কলাবিভাগের ৩৪ জন ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছ’টি করে পাঠ্যপুস্তক। প্রসঙ্গত,সংস্থাটি শুধু পাঠ্য পুস্তক নয়, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা, বন্যা কবলিত এলাকায় কম্বল দান সহ বিভিন্ন প্রকার সমাজ সেবামূলক কাজ করে আসছে।
অনামিকা দেবী বললেন,’আমাদের সাধ্যমত আমরা বারবার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আশা করি সবার সহযোগিতায় আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের পাশে থাকার সুযোগ পাবো ।’।