জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৭ সেপ্টেম্বর : গ্রাম বাংলার বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে শিউলি ফুলের গন্ধ, শারদীয়ার আগমনী বার্তা নিয়ে ইতিউতি উঁকি মারতে শুরু করেছে কাশফুল। ধীরে ধীরে সেজে উঠছে প্রকৃতি। সবুজ ধানক্ষেতের মাঝে সাদা কাশফুল। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে দু’বছর পর আবার সত্যিকারের আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালি। চারদিকে শোনা যাবে আগমনীর গান। বাঙালির সমস্ত দু:খ কষ্ট ভুলিয়ে দিতে ‘মা’ আসছে। তাদের ‘মা’-কে বরণ করতে প্রস্তুত আপামর বাঙালি। মূলত বিশ্বকর্মা পুজোর হাত ধরেই শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হয় ।
সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজো হয় ছোটবড় কল কারখানায় এবং যানবাহনের। কারখানা না থাকলেও পুর-পরিষেবা দেওয়ার জন্য এবং চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবহারের জন্য পুরসভায় বেশ কয়েকটি গাড়ি আছে। সুতরাং তাদের জন্যেই ব্যতিক্রম ঘটল না এবছরও। ধূমধাম সহকারে ১৭ ই সেপ্টেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুরসভায় পালিত হলো বিশ্বকর্মা পুজো।
রীতি মেনে পুরোহিতের সঙ্গে ঘট আনতে যান পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী স্বয়ং। তার সঙ্গে পা মেলান ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম সহ কয়েকজন কাউন্সিলর, পুরকর্মী এবং পুরসভার বড়বাবু মধুসূদন পাল। সকাল থেকে পুজোর আনুষঙ্গিক যোগাড়ে ব্যস্ত থাকেন মহিলা কর্মীরা। প্রত্যেকের মধ্যেই দেখা যায় আলাদা উৎসাহ।
কুশল বাবু বলেন,’বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো দুর্গাপুজো। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আপামর বাঙালি মেতে ওঠে এই উৎসবে। বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যায় ঢাকে কাঠি। পুর-পরিষেবা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা সারা বছর চরম ব্যস্ত থাকে। তাদের কিছুটা আনন্দ দিতে আমরা চেষ্টা করি বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করতে। সবার উপস্থিতির জন্য সত্যি খুব ভাল লাগছে।’।